পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত বছর বিশ্বের ধনীতম ৫০০ মানুষের সম্পদ বৃদ্ধির মিলিত পরিমাণ এক লক্ষ কোটি ডলারের বেশি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের পরিসংখ্যান টেনে একথা জানিয়েছে অক্সফ্যাম। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে আরও ৪০ জন ভারতীয় ১০০ কোটি সম্পদশালীর (বিলিয়নেয়ার) তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। ফলে ভারতে এই সংখ্যাটা বেড়ে হল ১৪২। তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৭২ হাজার কোটি টাকা। দেশের দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ মানুষের মোট সম্পদের থেকেও বেশি। ভারতের ধনীতম ১০ জনের সম্পত্তি দিয়ে আগামী ২৫ বছর দেশের সব শিশুর স্কুল ও উচ্চশিক্ষার খরচ চালানো সম্ভব। ফাঁস হওয়া প্যান্ডোরা পেপার্সের তথ্য উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান সামনে এনেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে ও দেশের বাইরে ২০ হাজার কোটি টাকার অঘোষিত সম্পদ রয়েছে ৩৮০ জন ভারতীয়ের।
অক্সফ্যামের বক্তব্য, গত বছর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্র কার্যত ভেঙে পড়েছিল। রুটি-রুজি হারিয়ে চরম অনটনের মুখে পড়তে হয় অসংখ্য মানুষকে। অপরাধ সংক্রান্ত সরকারি তথ্যের উল্লেখ করে অক্সফ্যামের দাবি, দিনমজুর, ব্যবসায়ী ও বেকাররা সবচেয়ে বেশি আত্মঘাতী হয়েছেন। মহামারীর ধাক্কায় ভারতে গত বছর মে মাসে শহরাঞ্চলের বেকারত্বের হার বেড়ে ১৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। সঙ্কটের মুখে পড়েছিল খাদ্য নিরাপত্তা। তা সত্ত্বেও ভারতে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই তালিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেনের মিলিত ধনকুবেরদের থেকে বেশি।
অক্সফ্যাম রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকেই ভারতে ন্যূনতম দৈনিক বেতনের পরিমাণ ১৭৮ টাকায় দাঁড়িয়ে। তা সত্ত্বেও ধনীরা কেন আরও বিত্তশালী হচ্ছেন? অক্সফ্যামের ব্যাখ্যা, ২০১৬ সালে সম্পদ করের অবলুপ্তি, কর্পোরেট লেভি বড় মাত্রায় কমিয়ে দেওয়া এবং অপ্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির ফলেই এই অবস্থা। স্থানীয় প্রশাসনের জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান কমিয়ে দেওয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ বৈষম্যের চিত্রটা আরও ভয়াবহ করেছে। গোটা বিশ্বে যত মানুষ অপুষ্টির শিকার, তার এক-চতুর্থাংশই এখন ভারতে। অক্সফ্যামের সুপারিশ, ভারতের ধনীতম ১০ শতাংশের উপর ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হোক। সেই টাকা ব্যবহার করা হোক স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে।