বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: নিউ দোমোহনি ও নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনের মাঝে কীভাবে বিকানির এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছিল, সোমবার তা সরেজমিনে তদন্ত করল ফরেন্সিক দল। বিধ্বস্ত ট্রেনটির বগি ও ইঞ্জিন খতিয়ে দেখলেন ওই দলের ৩ সদস্য। সংগ্রহ করলেন দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রেনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে স্টেট ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এসএফএসএল) সহ অধিকর্তা ডঃ চিত্রাক্ষ সরকার জানান, পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করার পর শিলিগুড়ির এসআরপি যশপ্রীত সিংকে রিপোর্ট জমা দেবেন। কারণ, তিনি এসআরপি শিলিগুড়ির আহ্বানেই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে এসেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার একাধিক কারণ থাকে। এই দুর্ঘটনায় ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি যে থাকতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন ফরেন্সিক কর্তা। এদিন দুপুরে এসএফএসএলের সহ অধিকর্তা ডঃ চিত্রাক্ষ সরকার ও তাঁর দুই সহকারী কৌস্তভ আইচ ও আকাশ দাস ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রথমেই তাঁরা দুর্ঘটনার সময় ক্ষতিগ্রস্ত এস-১০, এস-১১, এস-১২ ও এস-১৩ সহ অন্যান্য বগির দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সংযোগস্থলগুলি খতিয়ে দেখেন। মোবাইলে ছবি তোলেন। ঘটনাস্থলের পূর্ণাঙ্গ ভিডিওগ্রাফি করা হয়। সাদা কাগজে নোট করে নেন নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এদিকে ফরেন্সিক দলের পরিদর্শন চলাকালীন ঘটনাস্থলে আসেন, ডিআইজি (রেল) সোমা দাস মিত্র, এসআরপি (শিলিগুড়ি) যশপ্রীত সিং ও রেল পুলিসের আধিকারিকরা। এরপরই ফরেন্সিক দলকে সঙ্গে নিয়ে পুলিস আধিকারিকরা চলে যান নিউ দোমোহনি স্টেশনে। যেখানে দাঁড়িয়ে থাকা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। বেশ কিছু নমুনা তাঁরা ইঞ্জিন থেকেও সংগ্রহ করেন। এদিনের পরিদর্শন শেষে ডিআইজি রেল সোমা দাস মিত্র জানান, দুর্ঘটনার পর জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে মামলা হয়েছে এবং আমাদের তদন্ত হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই ফরেন্সিক পরীক্ষা নিরীক্ষা। সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকদের সঙ্গে কথা বলতে চায় রেল পুলিস। সে ব্যাপারে এদিনই রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পর ময়নাগুড়ি জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক যাত্রী।
