বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আপাতত যে প্রস্তাবগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে, সেগুলি হল, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়িয়ে অন্তত ৫০ হাজার টাকা করা, আয়করের ছাড়ের সীমা ৩ লক্ষ টাকা করা এবং নতুন বাড়ির ব্যাঙ্কঋণের ক্ষেত্রে কয়েক বছরের জন্য সুদের হারে ভর্তুকি দেওয়া। করোনার আগে রিয়াল এস্টেটে ৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকা বাড়ির ঋণে সরকার বিশেষ ছাড় দিয়েছিল। এবার সুদের হারে ৩ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মেডিক্লেম, জীবনবিমা সহ বিমাক্ষেত্রে জিএসটি কমানোর প্রস্তাবও আনা হতে পারে বাজেটে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেই। অ্যানুইটি বাবদ যে পেনশন আয় হবে, সেটিকে সম্পূর্ণ করমুক্ত করার দাবি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ছিল। এবার সেই প্রস্তাবটি কার্যকর করার কথা ভাবা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে যেমন এই সুবিধাগুলি দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে, তেমনই শিল্পমহলকে একগুচ্ছ সুরাহাও দেওয়া হতে পারে। সবথেকে বেশি ছাড় ও উপহার পেতে পারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) এবং অটো শিল্প। বিশেষ করে ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণে কয়েকবছরের জন্য করমকুবের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। উৎপাদন শিল্প এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রেকে উৎপাদন ব্যয়ের ক্রমবর্ধমান সঙ্কট থেকে সুরাহা দিতে কাঁচামালের উপর শুল্কছাড়ের প্রস্তাবও রয়েছে।
আপাতত কর্পোরেট ট্যাক্সে ছাড়া দেওয়া হবে, নাকি কিছু কিছু কাঁচামালের শুল্কহ্রাস হবে, সেটা নিয়েই অর্থমন্ত্রকের অন্দরে দড়ি টানাটানি তুঙ্গে বলে জানা যাচ্ছে। যতদূর জানা যাচ্ছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে বাজেটে ব্যয় সঙ্কোচন করা হবে না। বরং বরাদ্দ বাড়বে। অন্তত ৪২ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত আর্থিক বছরের তুলনায় যা প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকা বেশি। পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ হবে সবথেকে বেশি।