কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশন উপহার দেওয়া হবে। কিন্তু বাকি প্রতিশ্রুতির মতো এটিও স্রেফ কথার কথাই ছিল। সপ্তম পে কমিশনের নামে সরকারি কর্মচারীদের দেওয়া হয় ‘পে-ফ্যাক্টর ২.৫৭’। পোস্টাল ব্যালটে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই ধরা পড়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ, আগরতলায় সরকারি কর্মচারীদের প্রায় ৯৯ শতাংশই বিবেকানন্দ মঞ্চের সদস্য কিংবা সমর্থক। সংবর্ধনা নিতে প্রায়শই সেই মঞ্চে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। তাই বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই ফলে অশনি সঙ্কেত দেখছে বিজেপি। রাজ্য তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক জানান, ‘যদি স্বচ্ছভাবে ভোট হতো, তবে বিজেপি একশোর বেশি ভোট পেত না। যেটুকু ভোট ওরা পেয়েছে, তা অত্যাচারের নমুনা।
একই সুর বামফ্রন্টের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর। তাঁর মন্তব্য, ‘যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে ২৪৫৪টি ভোটই কেন বিজেপি পেল না, সেটাই আশ্চর্য লাগছে!’ যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য জানান, ‘যেসকল কর্মচারীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা বেশিরভাগই বাম আমলে চাকরি পেয়েছিলেন। তাও সরকারের জনমুখী কাজকর্ম দেখে শাসক দলের দিকে ঝুঁকছেন তাঁরা।’ আগরতলা পুর নিগমে সবক’টি ওয়ার্ডই বিজেপি দখল করেছে। সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, তিনি আসেননি। হাতেগোনা কয়েকজন নেতা এবং সমর্থকদের নিয়েই শেষ হয় বিজয় মিছিল।