বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন ছিল একটি রোগের মতো। তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, ভালো কথা। এবার রাষ্ট্রপতিকে এর উপর সিলমোহর দিতে দিন। তারপর আমরা ৭৫০ জন কৃষকের মৃত্যু, আন্দোলনকারীদের উপর দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও এমএসপি আইন নিয়ে কথা বলব।’একইসঙ্গে কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার নিয়ে জল্পনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে টিকায়েত বলেছেন, ‘সরকার চায় যাতে, সারা দেশের কোথাও মোদি বিরোধী বিক্ষোভ দানা না বাঁধে। আগে এমএসপি আইন কার্যকর করা নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক কেন্দ্র। কথা হোক বকেয়া দাবিদাওয়া নিয়েও। তারপর আন্দোলনকারী কৃষকদের ঘরে ফেরার প্রশ্ন।’
এদিন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল সংসদে পাস হয়ে যাওয়ার খবর দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু, তিক্রি সীমানা, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানায় পৌঁছনো মাত্রই যেমন উচ্ছ্বাসে মেতেছেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে দিল্লির সীমানাগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে, আগামীকাল এই ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন কৃষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আগামী ৪ ডিসেম্বরের বৈঠক নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে। কিন্তু আন্দোলন নিয়ে ১ ডিসেম্বর জরুরি বৈঠক হবে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ১১ দফা বৈঠকে যে কৃষক সংগঠনগুলি অংশ নিয়েছিল, তার প্রতিনিধিরাই বুধবারের বৈঠকেও হাজির থাকবেন।’ ফলে আগামী দু’দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে মোদি বিরোধী আন্দোলন কতটা তীব্র করতে চলেছেন কৃষকরা।
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ কর্মসূচি শুরু করেছে। যার মূল প্রতিপাদ্যই হল, বিজেপিকে একটিও ভোট যাতে কেউ না দেন, তা সুনিশ্চিত করা। সোমবার সংযুক্ত কিষান মোর্চা স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছে, বিজেপি বিরোধিতায় সোচ্চার হলেও কোনও রাজ্যে মোর্চার কোনও প্রতিনিধি নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন না। শুধুমাত্র বিধানসভা নির্বাচন নয়, কোনও রাজ্যের স্থানীয় ভোটেও সংযুক্ত কিষান মোর্চার প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন না। আন্দোলনকারী কৃষকদের একটি অংশের বক্তব্য, যেভাবে লাগাতার আন্দোলন করে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রকে বাধ্য করেছেন কৃষকরা, সেভাবেই একটানা বিক্ষোভ অবস্থানের পথে হেঁটে চারটি শ্রম কোড বাতিলের দাবিও করতে পারেন কৃষকরা। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলনও করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার মেঘ ঘন হচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। নয়াদিল্লি গাজিপুর সীমানায় পুলিসের জয়েন্ট কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। ছবি: পিটিআই