কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে সংসদে বিল পেশের খবর পেয়ে এদিন সকালে বৈঠকে বসে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। এরপরেই সংসদ অভিযান বাতিলের ঘোষণা করা হয়। তবে নিজেদের দাবি থেকে সরছেন না আন্দোলনরত কৃষকরা। দর্শন পাল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আমরা অনেক দাবি তুলে ধরেছি। কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। এছাড়া আন্দোলনে শহিদ হওয়া কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, নাড়া পোড়ানো সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রত্যাহার এবং বিদ্যুৎ বিল বাতিলের দাবিও রয়েছে।’ দাবিগুলি পূরণের জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন কৃষকরা। তারপরে পরবর্তী কার্যক্রম স্থির করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই কৃষক নেতা।
জানা গিয়েছে, সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তিনটি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সেদিন দলের সব এমপিকে সংসদে হাজির থাকার জন্য হুইপও জারি করেছে বিজেপি। এদিকে, আইন বাতিলের ঘোষণার আগেই অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। ৬০টির বেশি ট্রাক্টর এবং হাজারের বেশি জমায়েতের হুঁশিয়ারিও ছিল তাঁর গলায়। আইন বাতিলের ঘোষণার পরেও আন্দোলন থেকে সরে না আসার কথাই তিনি জানিয়ে ছিলেন। এদিনও কৃষকদের সেই আন্দোলন থেকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছেন নরেন্দ্র সিং তোমর। তিনি বলেন, ‘সরকার আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছে। তারপরেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন। আমি কৃষকদের অনুরোধ করছি, আপনারা বাড়ি ফিরে যান।’ কৃষকদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। তবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিশ্চিত করতে সরকার কোনও বিল আনবে কি না, সেব্যাপারে মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। নয়াদিল্লির সিংঘু সীমানায় সাংবাদিক বৈঠক করছেন কৃষক নেতা দর্শন পাল। ছবি: পিটিআই