গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই মুখ খুলে চলেছেন নবাব। এমনকী রাখঢাক না করেই এনসিবি’র আঞ্চলিক (মুম্বই) ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও সামনে আনেন তিনি। যার দরুন একটা সময় মাদক-মামলার তদন্তের মোড়টাই ঘুরে যায়। এবার সেই নবাবই এনসিবি সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তাক করে তাঁর বিরদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন। এদিন মুম্বইয়ে তিনি বলেন, ‘মাদক-মামলায় মুখ খোলার পর আমার উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাতে প্রাক্তন সতীর্থ অনিল দেশমুখের মতো আমাকেও বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো যায়।’ কীভাবে নজরদারি চলছে, তারও সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নবাব। তিনি বলেছেন, ‘বেশ ক’দিন ধরেই দেখছি আমার বাড়ির আশপাশে কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছে। তারা আমার ও পরিবারের সদস্যদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে। এই তো সেদিন বাড়ির সামনে দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছিলেন স্থানীয়রা। তারা ছবি তুলছিল বলে জানতে পেরেছি। আমি তখন দুবাইয়ে ছিলাম। পুরো ঘটনাটি মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারকে জানিয়েছি। তদন্ত করে দেখতে বলেছি, কারা আমার বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’ গতকাল ওই দুই ব্যক্তির ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করে অভিযোগের তিরকে আরও বেশি ধারালো করেছেন নবাব। সেখানে লিখেওছেন—‘এরা আমাকে ফাঁসাতে রেইকি করতে এসেছিল!’
গোটা ঘটনাটি মুম্বই পুলিসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সবিস্তার জানানোরও প্রস্তুতিও নিচ্ছেন নবাব। এদিন নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। তিনি বলেছেন, ‘এসবে অবশ্য আমার ভয় নেই। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মুখ খুললে এভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হবে কেন? ঠিক যেভাবে দেশমুখকে হতে হয়েছে। আমি শীঘ্রই তথ্যপ্রমাণ দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সবকিছু জানাবো। এ ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।’