পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন ছিল সংবিধান দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় তথা শেষ দিন। এই দু’দিনে বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকারকে সেগুলি বিবেচনা করে দেখার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। এরপরেই মঞ্চে উপস্থিত বিচারপতি ও আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, চলার পথে যতই সমালোচনা বা বাধা আসুক না কেন, বিচার দেওয়ার লক্ষ্য থেকে আমরা যেন কখনই সরে না আসি। বিচারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত করতে আমাদের কর্তব্যে অবিচল থাকতে হবে।
এরপরেই আগাম আলোচনা না করে বিল পাশে যে কী ক্ষতি হচ্ছে সে বিষয়ে মুখ খোলেন বিচারপতি রামনা। তাঁর কথায়, সমীক্ষা বা তার ফল নিয়ে মূল্যায়ন না করেই আইনসভা বিল পাশ করে দিচ্ছে। এতে কখনও কখনও বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর প্রকৃত উদাহরণ হল নিগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারা। প্রসঙ্গত, নিগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকলে চেক বাতিলের কথা বলা হয়েছে।
তবে, বিচারব্যবস্থার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর ঘোষণা করা ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধান বিচারপতি রামনা। তাঁর কথায়, আমি গতকালই বলেছিলাম তহবিল কোনও সমস্যা নয়। আসল সমস্যা হল, বেশ কিছু রাজ্য সেই অনুদানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্থ বরাদ্দ করতে এগিয়ে আসছে না। এর ফলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের একটা বড় অর্থ অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। এরপরেই বিচারব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ পরিকাঠামো কর্তৃপক্ষ গড়ার প্রস্তাব দেন তিনি। বিল পাশের আগে মূল্যায়ন নিয়ে প্রধান বিচারপতির এহেন মন্তব্যের পর বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, এন ভি রামনা নিগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার কথা বললেও আসলে সাম্প্রতিক কৃষি বিল নিয়ে সরকার ও বিচারব্যবস্থার নাজেহাল দশাকে ইঙ্গিত করেছেন।