পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার রাত পর্যন্ত তিন জেলা মিলিয়ে মোট ২৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেছে পিনারই বিজয়নের প্রশাসন। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা ও রাজ্য পুলিস। এর মধ্যেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস,২০-২৪ অক্টোবর আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাতে পরস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ১০টি জলাধার। এদিন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কেরলের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন জানিয়েছেন, প্রতিটি জলাধারকে ঘিরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সবরীমালা মন্দির। বিজয়ন সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার থেকে কেরলে নাগাড়ে বৃষ্টি। তার জেরেই বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য। কোথাও হড়পা বানে ভেসেছে জনবসতি। আবার কোথাও দু’কূল ছাপিয়ে নদীর জল ঢুকছে লোকালয়ে। সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত কোট্টায়াম, ইদুক্কি ও কোঝিকোড় জেলা। মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা এই তিন জেলাতেই বেশি। কোট্টায়ামের কোট্টিককল এবং কোক্কায়ার এলাকার ধ্বংসস্তূপ থেকে এদিন সকালে আরও বেশ কয়েকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সরকারি হিসেবে মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসে। বাকি পাঁচজন মারা গিয়েছে ইদুক্কি ও কোঝিকোড় জেলায়। মৃতদের মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এলাকার বেশ কয়েকজন এখনও নিখোঁজ। উদ্ধারকাজ অব্যাহত।
সোমবার সকালে বন্যা কবলিত প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ। পরে সাংবাদিকদের রাজন জানিয়েছেন, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে জলাধারগুলিকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। গত দু’দিনে কাক্কি, ইদুক্কি, শোলায়ার, পম্বা এবং ইডামালায়ার জলাধারের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫-২০ সেন্টিমিটার। কাক্কি জলাধার বাঁচাতে জল ছাড়তে শুরু করেছে প্রশাসন। জলাধারের দু’টি শার্টার খুলে ১০০-২০০ কিউমেক্স জল ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজন। বাকি চারটি জলাধারের অবস্থাও খুব খারাপ। লাল সতর্কতা জারি করে সংলগ্ন বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।
শবরীমালা মন্দিরে এখন পুজো পর্ব। থুলা মাসম পুজোকে ঘিরে আয়াপ্পা দর্শনে মন্দির খুলেছিল ১৬ অক্টোবর। সেই মতো দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় করেছিলেন শবরীমালাতে। কিন্তু তার পর থেকে তুমুল বৃষ্টি। মন্দিরের আশপাশের এলাকায় প্রবল জলের স্রোত। রাজন জানিয়েছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মন্দিরের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর কোনও বিকল্প উপায় ছিল না। পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে এনডিআরএফকে নামানো হয়েছে। দুর্গতদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে আনারও ব্যবস্থা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পম্পা নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপদসীমার উপর বইছে আরও বেশ কয়েকটি নদীর জল। বন্যা কবলিত ত্রিশূর জেলাও। জেলাশাসক হরিথা ভি কুমা জানিয়েছেন, এমনিতেই বৃষ্টির জলে জেলার বহু গ্রাম জলবন্দি। তার উপর চালাকুডি নদী ফুঁসছে। শোলায়ার জলাধার থেকে জল ছাড়লে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। নদীর দু’পাড় বরাবর বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।