গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দুর্ঘটনা রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে সমস্ত নতুন গাড়িতে অতিরিক্ত গতি সম্পর্কে চালককে সতর্ক করতে বিশেষ একটি যন্ত্র লাগানো থাকছে। এর ফলে গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার ছাড়ালেই চালককে সতর্ক করা হবে। পাশাপাশি, আগের তুলনায় ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে জরিমানার অঙ্কও। কিন্তু এরপরেও পরিস্থিতিতে বিশেষ পরিবর্তন আসেনি। গুয়াহাটি ও বম্বে আইআইটির গবেষকদের কথায়, উচ্চগতি নিয়ে চালকদের সতর্ক করার জন্য বর্তমানে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সমস্ত ক্ষেত্রে সমান কার্যকরী নয়। পাহাড়ি এলাকা, সমতল বা মরুভূমি এলাকায় গাড়ি চালানোর সময় অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথভাবে কাজ করছে না। আইআইটি গুয়াহাটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক অখিলেশকুমার মৌর্য বলেন, ‘কোথায় কত গতিবেগে গাড়ি চালানো নিরাপদ, তা নির্ভর করে রাস্তার ভৌগোলিকঅবস্থানের উপর। পাহাড়ি রাস্তায় বিপজ্জনক বাঁকের গতিবেগ ও সমতল রাস্তায় গতিবেগ কখনই সমান হতে পারে না। রাস্তার অবস্থান ও পরিকাঠামোর উপর নির্ভর করে গতিবেগ নিয়ে চালকদের সতর্ক করার জন্য বিশেষ প্রযুক্তি আনা প্রয়োজন। তা মেনে গাড়ি চালানো হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রযুক্তিতে কোনও গাড়ি নির্দিষ্ট গতিবেগ পেরলেই চালককে সতর্ক করা হয়। কিন্তু অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিতে রাস্তার পরিস্থিতি ও গাড়ির অবস্থানের উপর ভিত্তি করে চালককে সতর্ক করা হবে। এর ফলে রাস্তার বিপজ্জনক বাঁক বা পাহাড়ি রাস্তায় মোড় ঘোরার ক্ষেত্রে আগে থেকেই বার্তা যাবে চালকের কাছে।’ ইতিমধ্যে ‘স্মার্ট স্পিড ওয়ার্নিং সিস্টেম’ প্রযুক্তির পেটেন্টের জন্য আবেদন করার কথাও ভাবছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি, বিশ্বের অন্য কোনও দেশে এখনও এই প্রযুক্তি
চালু হয়নি।