পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আলু থেকে পিঁয়াজ-আদা, বেগুন থেকে উচ্ছে-পটল-মুলো, টমাটো থেকে ধনেপাতা-ঢ্যাঁড়স—কোনও কিছুকেই জাস্ট ছোঁয়া যাচ্ছে না! হাফ সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে প্রায় সব সব্জিই। রবিবারও দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা সহ একাধিক শহরে পিঁয়াজ, টমাটো বিক্রি হয়েছে অগ্নিমূল্যে। কোথাও কোথাও খুচরো বাজারে টমাটোর দর ৮০ টাকা ছাপিয়ে পৌঁছে গিয়েছে একশোর ঘরে। পিছনে পিছনে দৌড়চ্ছে পিঁয়াজের দরও। সচরাচর সেপ্টেম্বর মাস থেকে পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়াটাই দস্তুর। কারণ, এর পরের তিন মাস মজুত পিঁয়াজের উপর নির্ভর করে বাজারকে সচল রাখা হয়। সরকারি হস্তক্ষেপে দাম মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকত। এবার সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে বর্ষা। কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে বৃষ্টির প্রকোপে গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রায় ৭৫ শতাংশ পিঁয়াজ ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকরা। ফলে কোল্ডস্টোরেজ থেকে মজুত পিঁয়াজ বের করেও চাহিদা ও জোগানের সামঞ্জস্য রাখা যাচ্ছে না।
নাসিকের বড় মাপের সব্জি ব্যবসায়ী অরুণ সোলাঙ্কি এদিন বলছিলেন, ‘এ বছর প্রবল বৃষ্টির জেরে পিঁয়াজসহ একাধিক আনাজের সরবরাহ প্রক্রিয়া কার্যত থমকে গিয়েছে। উৎপাদন না হলে বাজারে সব্জি আসবে কী করে?’ দিল্লির গাজিপুরের পাইকারি বাজারের এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এসপি গুপ্তাও বলছিলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় দু-আড়াই মাস আমাদের কাছে সব্জির সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়। বৃষ্টির কারণেই গ্রীষ্মকালীন সব্জি চাষ পুরোপুরি মার খেয়েছে। ফলে, প্রায় প্রতিটি সব্জির দাম কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
দু’দিন বাদেই বাংলায় ধনদেবীর আরাধনা। সব্জির পাশাপাশি ফলমূলেরও অগ্নিমূল্য। আপেল, নাসপাতি, আনারস, আখ, কমলালেবুসহ একাধিক ফলের দর সেঞ্চুরি পার করেছে। এক্ষেত্রে অনেকেই দুষছেন ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিকে। বাজার বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই বেড়েছে পরিবহণ খরচ। ফলে ভিন রাজ্য থেকে ফল আমদানির বর্ধিত খরচ মেটাতে কোপ পড়ছে ক্রেতা সাধারণের উপর। সর্ষে, সোয়াবিন, সূর্যমুখীসহ ভোজ্য তেলের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এক্ষেত্রে অবশ্য মোদি সরকারের সাফাই—বিদেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে বলেই দেশীয় বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। তবে, আমদানি শুল্ক কমিয়ে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।