পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত এক-দেড়মাসে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে গোটা উপত্যকায়। ১১ অক্টোবর পুঞ্চের সুরানকোট জঙ্গলে অভিযানে গিয়ে শহিদ হন সেনাবাহিনীর এক অফিসার সহ চার জওয়ান। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার মেন্ধরের নরখাস জঙ্গলে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বাহিনীর। তাতে বিক্রম সিং নেগি ও যোগাম্বর সিং নামে বাহিনীর দুই রাইফেল ম্যান শহিদ হন। উভয়েরই বাড়ি উত্তরাখণ্ডে। শনিবার ফের গুলি-যুদ্ধের সাক্ষী থাকল পুলওয়ামা। এখানকার পাম্পোর এলাকায় জঙ্গিদের একটি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় বাহিনী। মৃত্যু হয় উমর মুস্তাক খান্ডে নামে লস্করের এক কমান্ডারের। একই সঙ্গে মারা পড়ে তার দুই সঙ্গীও।
কাশ্মীরের একাধিক নাশকতার সঙ্গে জড়িত উমর। তারই নেতৃত্বে দুই পুলিসকর্মীকে হত্যা করে জঙ্গিরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, গোটা উপত্যকাকে অশান্ত করে তুলতে উমরের কাঁধে দায়িত্ব দিয়েছিল লস্কর-ই-তোইবার শীর্ষ নেতৃত্ব। তার মূল টার্গেট ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালানো। উপত্যকায় প্রথমসারির ১০ জঙ্গি নেতার একজন ছিল উমর। তাকে এদিন খতম করতে পেরে খানিক স্বস্তি পেয়েছে বাহিনী। শুক্রবার বাহিনীর হাতে খতম হয়েছিল দুই জঙ্গি। কেমিস্ট ও দুই শিক্ষককে খুন করার ঘটনায় এরা জড়িত ছিল। তবে পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে সেনা ও পুলিসের। বিশেষ করে মেন্ধরের ঘন জঙ্গলে বহু জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ঘুঁটি সাজাচ্ছে নাশকতা ঘটানোর। এরজন্য প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছে বলেও খবর। সোমবার জঙ্গিদের গুলিতে এক অফিসার চার জওয়ানের মৃত্যুর পর মেন্ধরের ওই জঙ্গলে অভিযানে নামে বাহিনী। অভিযান চলাকালীন দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেনা সূত্রে খবর, টানা প্রায় তিনদিন জঙ্গিদের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তাতেই দুই রাইফেল ম্যানের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এক জুনিয়র সেনা অফিসারসহ এক জওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাহিনীর। গতকাল (শুক্রবার) অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সেনাকর্তারা জানতে পারেন, ওই অফিসার ও জওয়ান দু’জনেই গুলিবিদ্ধ হন। কিন্তু তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার রাতে ওই দুই নিখোঁজ শহিদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার জঙ্গিদের গুলিতে উপত্যকায় দু’জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একজনের বাড়ি বিহারে। অন্যজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। গত দু’সপ্তাহে এনিয়ে উপত্যকায় ন’জনের মৃত্যু হল। পুলিস জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ১৩ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত এবং অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নাতি আনিস-উল-ইসলামকে। তিনি ‘শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার’-এর রিসার্চ অফিসার ছিলেন। পাশাপাশি, ডোডা জেলার এক শিক্ষককেও চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। আলতাফ আহমেদ শাহের পুত্র আনিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরবের তিন সন্দেহভাজন জঙ্গির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল।