চণ্ডীগড় (পিটিআই): বিতর্ককে সঙ্গী করেই পাঞ্জাবে চরণজিৎ সিং চান্নির নতুন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হল। ১৫ সদস্যের চান্নি মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ ছ’জন। বাদ পড়েছেন অমরিন্দর জমানার বেশ কয়েকজন। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচনকে মাথায় রেখেই মন্ত্রীদের বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, মন্ত্রিদের তালিকা দেখেই বিদ্রোহ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রানা গুরজিৎ সিংকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য দাবি উঠেছে। গুরজিৎ এর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। কিন্তু, বালি খাদান দুর্নীতিতে গুরজিৎ ও তাঁর পরিবারের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় ২০১৮-র জানুয়ারিতে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি পাঞ্জাবের বিত্তশালী বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম। গুরজিৎকে যাতে চান্নি মন্ত্রিসভায় না রাখা হয়, সেই দাবি জানিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুকে চিঠি দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। তাঁদের দাবি ছিল, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখা হোক। কিন্তু মন্ত্রিসভায় সুযোগ পেলেন তিনি। বাদ পড়া ক্ষুব্ধ মন্ত্রীদের প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হল?
প্রশ্ন উঠেছে গুরকিরাত সিং কোটলিকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েও। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংয়ের নাতি কোটলির নাম জড়ায় ১৯৯৪-এ এক ফরাসি পর্যটককে অপহরণ ও শ্লীলতাহানির মামলায়। ১৯৯৯এ অবশ্য এই অভিযোগ থেকে তিনি রেহাই পান। তাঁকে মন্ত্রিসভায় না রাখার জন্য আগাগোড়াই সরব ছিল বিরোধী শিরোমণি অকালি দল এবং আম আদমি পার্টি। কিন্তু, সেই দাবিও ধোপে টেকেনি। পাঞ্জাবে দলীয় কোন্দল যেভাবে ক্রমাগত মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তা সামলানোই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে।