বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাঙ্কে প্রধানমন্ত্রীর গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। মোট সম্পত্তির পরিমাণ বাড়িয়েছে তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট। তা রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের গান্ধীনগর শাখায়। এবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। গত বছর এই অর্থের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সম্পত্তির সর্বশেষ ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডে তাঁর কোনও বিনিয়োগ নেই। বরং, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে ৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৫১ টাকা ও জীবনবিমা পলিসিতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৫৭ টাকা বিনোয়োগ রয়েছে তাঁর। ২০১২ সালে তিনি এল অ্যান্ড টি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বন্ড কিনেছিলেন ২০ হাজার টাকার।
চারটি সোনার আংটি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেগুলির মিলিত বাজারদর ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রী মোদির মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। তাঁর কোনও ঋণ বা ধারদেনা নেই। কোনও ব্যক্তিগত গাড়িও নেই তাঁর নামে। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে গান্ধীনগরের সেক্টর ওয়ানের একটি জমি (প্লট নম্বর ৪০১/এ)। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই জমির মালিকানা রয়েছে আরও তিন জনের নামে। জমিতে প্রত্যেকেরই ২৫ শতাংশ করে ভাগ রয়েছে। জমিটির মোট পরিমাণ ৩ হাজার ৫৩১.৪৫ বর্গ ফুট। ২০০২ সালের ২৫ অক্টোবর এই সম্পত্তি কিনেছিলেন মোদি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মাত্র মাস দুয়েক আগে। সেই সময় জমিটির দাম ছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার সামান্য বেশি। তবে, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নতুন করে আর কোনও সম্পত্তি কেনেননি মোদি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির আমলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রতি অর্থবর্ষের শেষে তাঁদের সম্পত্তি ও ঋণের পরিমাণ স্বেচ্ছায় ঘোষণা করতে হবে। জনমানসে স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে। প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেই ঘোষণা জনসমক্ষে তুলেও ধরা হয়।