গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। মূলত আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেস পা রাখার পর থেকেই নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ দেখা যাচ্ছে। ত্রিপুরার মহারাজ বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের আলোচনা করতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু গ্রেটার ত্রিপুরাল্যান্ডের দাবি থেকে আমরা সরছি না। আমাদের দাবি মানতে হবে এবং একটা লিখিত বক্তব্য দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন মাণিক্য। উল্লেখ করেছেন, এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষ্যাৎ হয়নি। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ড সব সময় নজর রাখি। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে ত্রিপুরা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা তুলে ধরে মহারাজ দেখিয়েছেন, তৃণমূল ৫৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে। যে প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ট্যুইটারে করা একটি সমীক্ষায় সাধারণ লোকের মতামত তুলে ধরেছি। তার সঙ্গে আমার কিছু লেনাদেনা নেই। ত্রিপুরায় তৃণমূল সংগঠন গোছাচ্ছে। আগামীদিন কী হবে, তার দিকে নজর রয়েছে মাণিক্যের। তবে তিনি এটা উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে যতগুলি আসন এসেছিল, তার পুনরাবৃত্তি ২০২৩ সালে হবে না। সেবার বিজেপি পেয়েছিল ৩৬টি আসন। ত্রিপুরার মহারাজা বলেছেন, ৩০টি আসনের লড়াই হবে ত্রিপ্রার সঙ্গে সিপিএমের। বিজেপি ফ্যাক্টর নয়। তৃণমূল এখনও সংগঠন তৈরি করতে পারেনি। যাত্রা শুরু করেছে মাত্র, ওরা আরও কিছুটা যাক। মানুষের রায়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসলেও, তাদের পারফরম্যান্স খুব খারাপ, সেটাও ব্যক্ত করেছেন মহারাজা। বিশেষ করে যে ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। বলেছেন, যে কোনও ধরনের হিংসার ঘটনা রাজ্যের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে। ৯ এপ্রিল আমার উপর হামলা হয়েছিল। যেখানে মহারাজাই সুরক্ষিত নয়, সেখানে সাধারণ মানুষের কী হবে!