রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চার রাষ্ট্রের এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য একটাই, চীনকে প্রতিরোধ করা। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটির ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী মনোভাবকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই রণকৌশল তৈরি করছে এই অক্ষ। কোয়াডের আসন্ন বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা, দক্ষিণ চীন সাগরে বিপুলভাবে শক্তিবৃদ্ধি। এই বৈঠকের ঠিক আগেই আমেরিকা, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যুদ্ধ সংক্রান্ত স্ট্র্যাটেজিক চুক্তি হয়েছে। যা প্রধানত চীন ও রাশিয়ার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ। এই চুক্তির অন্যতম প্রধান সমঝোতা হল, নিউক্লিয়ার সাবমেরিন একযোগে ব্যবহার করা। আর এখানেই স্থির হয়েছে, আমেরিকার থেকে একঝাঁক পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন নেবে অস্ট্রেলিয়া। যা আগে অস্ট্রেলিয়াকে দেবে বলেছিল ফ্রান্স। এই ভোলবদলেই ফ্রান্স ক্ষুব্ধ। কিন্তু জানা যাচ্ছে, ফ্রান্সের থেকে অত্যাধুনিক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ভারত। মঙ্গলবারই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। আলোচ্য বিষয়বস্তু ছিল, আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থান এবং তার ফলে মাথাচাড়া দেওয়া সন্ত্রাস, মাদক ও অস্ত্রপাচার। ইতিমধ্যেই ভারত ৫০ হাজার কোটি টাকায় ছ’টি সাবমেরিন তৈরি করছে। এবার আলাদা করে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন কেনার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। ভারতের কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট, আফগানিস্তানের নয়া শাসক এবং পাকিস্তানের এই জুটি শক্তিশালী হয়ে ওঠার পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা নেবে চীন। তাই লালফৌজকে সমুদ্রপথে এতটুকু জায়গা ছাড়া যাবে না। দক্ষিণ চীন সাগর এবং ভারত মহাসাগরে চাপে রাখতে হবে বেজিংকে। সেই কারণেই এবার নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার দিকে মন দিয়েছে ভারত।
জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত—এই চার রাষ্ট্রের জোট দক্ষিণ চীন সাগরকে একপ্রকার চীনের কাছে অবরুদ্ধ করে দেওয়ারই পরিকল্পনা নিয়েছে। এই রণকৌশলের বিষয়েই আসন্ন বৈঠকে আলোচনা হবে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার মোদি এবং বাইডেনের বৈঠকে আফগানিস্তান হতে চলেছে অন্যতম প্রধান আলোচ্য। দুই দেশের মধ্যে যে মৈত্রীর সম্পর্ক, সেটি যাতে আরও শক্তিশালী হয়, সেই অভিমুখেই আলোচনা হবে।’ মোদির সঙ্গে এই সফরে থাকছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার বিষয়ে তাঁরা সবথেকে বেশি জোর দেবেন। তালিবানের মূল চালিকাশক্তি যে পাকিস্তান, সেই সারসত্যটা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক মহলেও পাকিস্তান প্রবল চাপে। সন্ত্রাসে তাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতের তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। একের পর এক ঘটনাক্রম তার প্রমাণ। নিউজিল্যান্ডের পর ইংল্যান্ডেও তাদের ক্রিকেট সফর বাতিল করেছে। ইমরান খান বিলক্ষণ জানেন, বিশ্বমঞ্চের আসন্ন প্রতিটি বৈঠকই তাঁর পিঠ দেওয়ালে ঠেসে দেবে। আর রাজনীতির আবহাওয়া যে পক্ষে নেই, সেটা বুঝছে চীনও। বাইডেন এদিনই স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর একটা ঠান্ডাযুদ্ধ চায় না। কোনও কোনও দেশের সঙ্গে আমাদের বহু বিষয়েই তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। তাদের সঙ্গেও কাজ করব। কিন্তু তার আগে সেই রাষ্ট্রকে শান্তিপূর্ণ মনোভাব নিয়ে সামনে আসতে হবে।’