পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ৭ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে এসেছিল বার্নসের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। তারা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের পদস্থ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখল পরবর্তী দুই দেশের গোয়েন্দা প্রধানের এই বৈঠক নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি কোনও পক্ষই। তারপর পাকিস্তান সফরে গিয়ে সেদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজোয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন বার্নস। তারপরেই বার্নসের সঙ্গে থাকা এক আধিকারিকের হাভানা সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল। এ বিষয়ে সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে একটি বিবৃতি দেন সিআইএর এক মুখপাত্র। তবে, প্রোটোকল মেনে আক্রান্ত আধিকারিক সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই বলেননি তিনি। শুধু বলেছেন, তাঁর চিকিৎসা চলছে। মার্কিন আধিকারিকের হাভানা সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা যেখানে ভারতের নাম জড়িয়ে গেল।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিদেশ সফররত মার্কিন কূটনীতিকরা হাভানা সিনড্রোমে আক্রান্ত হলেন। এর আগে গত আগস্ট মাসে ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হ্যানয়ে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের এক অফিসার সন্দেহভাজন হাভানা সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ায় কমলা হ্যারিসের বিমান নামতে তিন ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। মার্কিন প্রশাসনের একের পর আধিকারিক অজানা এই স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হতেই কার্যত দিশেহারা অবস্থা আমেরিকার। সিআইএ আধিকারিকদের একাংশ বাইডেন প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। বার্নসকে সরাসরি বার্তা দিয়ে তাঁরা বলেছেন, কেউ নিরাপদ নন। এমনকী, দেশের শীর্ষস্তরে গোয়েন্দা হিসেবে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরাও সুরক্ষিত নন। তারপরেই প্রশাসনের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিআইএ প্রধান।
জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে প্রায় ২০০ জন মার্কিন আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা হাভানা সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন। কী করে বেছে বেছে দেশের কূটনীতিকরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন? মার্কিন ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস বলেছে, এর পিছনে রয়েছে রেডিও তরঙ্গ। এমনকী, রাশিয়ার হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বার্নস। তাঁর কথায়, মস্কো যোগের ‘খুব গুরুতর সম্ভাবনা’ রয়েছে। হাভানা সিনড্রোমে আক্রান্তদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খারাপ হলে তাঁদের কর্মজীবন ফুরনোর আগেই অবসর নিতে হচ্ছে।