দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গত ৪ মার্চ শ্রীনগরে ইপিএফও অছি পরিষদের বৈঠকে তৎকালীন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী তথা পদাধিকার বলে অছি পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষকুমার গঙ্গোওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ২০২০-২১ আর্থিক বছরের ইপিএফের সুদের হারে কোনও পরিবর্তন করা হবে না। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের মতোই তা সাড়ে আট শতাংশ থাকবে। সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর প্রায় সাত মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে সুদ জমা পড়েনি। জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে, দীপাবলির আগেই সুদ জমা পড়বে তো। যদিও গ্রাহকদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, গতবারও একইভাবে উৎসবের মরশুমের আগে সুদ জমা পড়া নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। শেষমেশ তা মেলে গত জানুয়ারি মাসে। অর্থাৎ, বছর ঘুরে। এবারও তেমন কিছু হবে কি না, সেই আশঙ্কাই দানা বাঁধছে ইপিএফ গ্রাহকদের একাংশের মধ্যে। কেন সুদ জমা পড়তে এত টালবাহানা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। পাশাপাশি মন্ত্রকের দায়িত্বভার গ্রহণের পর এখনও পর্যন্ত ইপিএফও অছি পরিষদের বৈঠক ডাকেননি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। জল্পনা ছড়িয়েছে তা নিয়েও। শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র জানাচ্ছে, অর্থমন্ত্রক সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিলেই সুদ জমা পড়বে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে। এই ব্যাপারে এআইইউটিইউসির সর্বভারতীয় নেতা তথা ইপিএফও অছি পরিষদের সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতে এমনিতেই দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরা চরম আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন। এই অবস্থায় ইপিএফের সুদ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা প্রমাণ করে, শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থ নিয়ে কেন্দ্র আদৌ চিন্তাভাবনা করছে না। লকডাউনে বহু শ্রমিক-কর্মচারী মজুরি পাননি। বোনাস নিয়েও উচ্চবাচ্য করছে না সরকার।’