বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিকে করোনা বিমা প্রকল্প দু’টি আনা হয়, যা কেনার সময়সীমা ছিল গত ৩১ মার্চ। কিন্তু এবছর দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় সেই সময়সীমা বাড়ানো হয় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গ্রাহক সাড়ে তিন মাস, সাড়ে ছ’মাস বা সাড়ে ন’মাসের মেয়াদে ওই বিমা কিনতে পারেন। ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভারেজে বিমা কেনা যায়। কিন্তু চলতি আর্থিক বছরে ওই বিমা প্রকল্প দু’টি বেচতে ঘোর অনীহা দেখা দিয়েছে বিমা সংস্থাগুলির তরফে, অভিযোগ এমনই। বহু গ্রাহক তা চেয়েও পাননি, এমনটাও শোনা গিয়েছে।
বিমা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে। তারা স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়, কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না করোনা কবচ এবং করোনা রক্ষক। এমনকী তার রিনিউ বা নবীকরণ করতেও করতে বাধ্য থাকবে সংস্থাগুলি। এর পরই আইআরডিএআইয়ের কাছে করোনা রক্ষক ও করোনা কবচের প্রিমিয়ামের অঙ্ক বাড়ানোর জন্য আর্জি জানায় একাধিক সংস্থা। তাদের বক্তব্য, যেহেতু প্রচুর মানুষ করোনার চিকিৎসায় এই বিমার ব্যবহার করেছেন, তাই বিরাট অঙ্কের চিকিৎসা খরচ মেটাতে হয় সবক’টি স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাকে। এর ফলে আর্থিকভাবে অনেকটাই সঙ্কটে পড়েছে তারা। প্রিমিয়াম না বাড়ালে ক্ষতির অঙ্ক পোষানো সম্ভব নয়। যেহেতু বিমা সংস্থাগুলির ওই দুই প্রকল্পের প্রিমিয়াম আলাদা আলাদা, তাই তা কতটা বাড়ানো হতে পারে, সেই বিষয়টি বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার উপরই ছেড়ে দিয়েছে তারা।