পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ‘বাহুবলি’ বিধায়ক বলে পরিচিত কুলদীপ সিং সেঙ্গার অভিযোগকারিনীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। তখন তিনি নাবালিকা ছিলেন। এই ঘটনায় সে সময় আলোড়ন পড়ে যায়। মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত বিধায়ক নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে নির্যাতিতার পরিবারকে। ২০১৯ সালে আদালতে যাওয়ার পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। দ্রুত গতির একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান নির্যাতিতার পরিবারের দুই আত্মীয়া। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি ও তাঁর আইনজীবী। এই ঘটনায় কুলদীপের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিস। তদন্তে নামে সিবিআই। রিপোর্টে তারা জানিয়ে দেয়, নির্যাতিতার গাড়িতে ধাক্কা সাধারণ একটি দুর্ঘটনা। সিবিআইয়ের সেই রিপোর্টকেই মান্যতা দিল আদালত। দিল্লির জেলা দায়রা বিচারক জানিয়েছেন, সিবিআই যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করেছে। তাদের রিপোর্টকে বিশ্বাস না করার কোনও কারণ নেই। কিন্তু গত জুন মাসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি পাঠিয়ে নির্যাতিত অভিযোগ করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার সর্বতোভাবে কুলদীপকে সহযোগিতা করে চলেছে। এমনকী, জেলবন্দির ঘনিষ্ঠ অরুণ সিংকে জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান পদে টিকিট দিতেও নিষেধ করেছিলেন যোগী সরকারকে। তার পরেও অরুণ টিকিট পেয়েছেন বলে নির্যাতিতার অভিযোগ। তিনি বলেছেন, কুলদীপের অভাবনীয় অত্যাচারে পুরো পরিবারটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনও সমানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের নিরাপত্তায় পুলিস নিয়োগের নির্দেশ দেয়। সেইমতো নির্যাতিতার বাড়িতে পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার নিয়োগ করে জেলা পুলিস। কিন্তু ইদানীং সেই অফিসারই তাঁকে বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতা।