কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবারের ঘটনার পর দুই রাজ্যই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছিল। প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে অনেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। তবে সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ওই শীর্ষ আধিকারিক। তাঁর মতে, এখনই কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিতে তদন্তের সম্ভাবনা নেই। কেন্দ্র এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে।
সীমানা সংঘাতের পর উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল মিজোরাম। তালিকায় নাম ছিল পড়শি রাজ্যের চার শীর্ষ পুলিস আধিকারিক, দুই আমলা এবং ২০০ অজ্ঞাতপরিচয় পুলিসকর্মীর। কিন্তু, রবিবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর এফআইআর থেকে হিমন্তর নাম বাদ দিতে উদ্যোগী হল মিজোরাম সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব লালনুনমাউইয়া চুয়ানগো। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এফআইআরে হিমন্তর নাম যুক্ত করার ব্যাপারে রাজি ছিলেন না। আমাকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। আমি এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ না মিললে এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে। যদিও অসমের বাকি ৬ জন পুলিস ও সরকারি আধিকারিক ও পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সেবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যসচিব।
এদিকে, সংঘাতের পর ছ’দিন কেটে গেলেও সীমানা সংলগ্ন এলাকা এখনও থমথমে। নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ালেও লাইলাপুর ও জাতীয় সড়কে টহল দিচ্ছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।
বরাক উপত্যকার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গাড়ি চলাচলে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু, দুই রাজ্যের মধ্যে যানবাহন আসা-যাওয়া কার্যত বন্ধ রয়েছে। সরকারি, পুলিস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর গাড়ি ছাড়া রাস্তায় অন্য কোনও যানবাহন নজরে পড়ছে না। কাছাড় জেলার কাবুগঞ্জ-ঢোলাইয়ে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, কোভিড মোকাবিলার সরঞ্জামের গাড়িও রয়েছে। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, প্রশাসনিকভাবে সমস্ত ব্যরিকেড সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কিছু কিছু জায়গায় স্থানীয়রাই গাড়ি আটকে দিচ্ছে। এই কারণে ট্রাক সহ অন্যান্য মালবাহী গাড়ির মালিকরা যাতায়াত করতে সাহস পাচ্ছেন না। মিজোরামের দিকেও পরিস্থিতি একই বলে জানা গিয়েছে। সেদিক থেকে কোনও গাড়ি অসমে প্রবেশ করছে না।
এরমধ্যেই সীমানা সমস্যা মেটাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে অসম সরকার। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অন্যদিকে, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সীমানা সমস্যা মেটাতে প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, স্যাটেলাইট ইমেজিংয়ের মাধ্যমে রাজ্যগুলির সীমানা নির্দেশ করা হবে। সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নর্থ ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (এনইএসএসি)-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছেন। তারাই পরবর্তী ধাপের কাজ করবেন। জানা গিয়েছে, শিলংয়ের এই সংস্থা ইতিমধ্যেই বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মহাকাশ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে।