পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করতে চাইছে না সরকার পক্ষের কেউই। তবে সংসদে এক মন্ত্রীর কৌশলী জবাব, আমরা তো চাই, অধিবেশন চলুক। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু, বিরোধীরা তা চাইছে না। তাই পদে পদে বাধা দিচ্ছে। ফলে সংসদে প্রচুর কাজের সময় নষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা অধিবেশনের সময়সীমা কমানোর কথা ভাবছি।
সরকারের অভিযোগ, বিরোধীদের হইচইয়ের কারণে লোকসভার সিংহভাগ সময়ই নষ্ট হয়েছে। ৫৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নকক্ষে কাজ হয়েছে সাত ঘণ্টার মতো। আড়ি পাতা, কৃষি আইন ইস্যুতে বিতণ্ডার জেরে রাজ্যসভাতেও প্রচুর কাজের সময় নষ্ট হচ্ছে। উচ্চকক্ষের সচিবালয়ের তরফে এক বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, অধিবেশনের প্রথম দুই সপ্তাহে কাজের সময় ৮০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। অর্থাত্ ৫০ ঘণ্টার মধ্যে কাজ হয়েছে মাত্র ১০ ঘণ্টা। এর ফলে সার্বিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে কাজকর্ম। সচিবালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, বারবার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্যসভায় কাজ হয়েছে ১৩.৭০ শতাংশ। প্রথম সপ্তাহে তা ছিল ৩২.২০ শতাংশ। বাদল অধিবেশনে দু’কক্ষ মিলিয়ে ১০৭ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ চলেছে মাত্র ১৮ ঘণ্টা। এরজেরে শুধু সময় নয়, বড় অর্থের আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে। মোদি সরকারের অভিযোগ, এর ফলে দেশের করদাতাদের ১৩৩ কোটি টাকার বেশি নষ্ট হয়েছে। এরজন্য দায়ী বিরোধীরা। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। তারা পাল্টা মোদি সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে।