গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মিজোরাম ও অসমের এই বিবাদের আঁচ ছড়িয়েছে অসম লাগোয়া রাজ্য মেঘালয়ে। শুক্রবার মেঘালয়ের শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। সীমান্ত পেরিয়ে অন্য রাজ্যে যাওয়া মেঘালয়বাসীকে যেন কোনওভাবেই করা না হয়। তাহলে আমরাও পাল্টা ব্যবস্থা নেব। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যে রাজ্যে যাতে এভাবে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে তাই তড়িঘড়ি অসম সরকার নাগাল্যান্ডের সঙ্গে জমি বিবাদ মেটাতে একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছে। শনিবারই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই সমঝোতাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে নাগাল্যান্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। এবং ট্যুইটে ধন্যবাদও জানান নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে। অসমের কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জে তিন ব্যাটেলিয়ন কমান্ডো মোতায়েন করেছে অসম। এই তিন জেলারই লাগোয়া মিজোরাম সীমান্ত।
অসম সরকার নাগরিকদের নিষেধ করেছে মিজোরামে যেতে। পাশাপাশি মিজোরাম অভিযোগ করেছে, কোভিডের চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে খাদ্যসামগ্রী ও জ্বালানি অসম সরকার মিজোরামে ঢুকতে দিচ্ছে না। এতে মিজোরাম চরম সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে। হঠাৎ উত্তর ভারতের দুই রাজ্যের মধ্যে এই বেনজির বিরোধে সঙ্কটে পড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু প্রশাসনিক নয়, রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একপ্রকার অসহায়। কারণ, দুই রাজ্যেই চলছে এনডিএ সরকার। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী অসমে। আর মিজোরামে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এই মিজো জাতীয় ফ্রন্টই বিজেপির সঙ্গে জোট করেছে। সুতরাং, কাকে ছেড়ে কার মন রাখবে কেন্দ্র, সেটাই সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রাণপণে চেষ্টা করছে যাতে, কোনওভাবেই বিবাদ পাশের রাজ্যগুলিতে না ছড়ায় অথবা রাজ্যগুলির মধ্যে কোনও শিবির তৈরি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সাত রাজ্যকে একসঙ্গে সামলানো সম্ভবই হবে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষে।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী অসম সম্পর্কে নরম মনোভাব না নিয়ে শনিবার দুপুরে শুধু বলেছেন, উত্তর পূর্ব ভারত একজোট আগেও ছিল, এখনও আছে। আমাদের ঐক্য কেউ ভাঙার চেষ্টা করলেও পারবে না। এই বার্তার লক্ষ্য কে? সেটা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দুই রাজ্যকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অনুরোধ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীকে যেন সীমান্ত থেকে উভয় রাজ্যই সরিয়ে নেয়।