সিমলা: ট্যুইটারে এখনও জ্বলজ্বল করছে হাসিমুখটি। কিন্তু আর দেখা যাবে না সেই মুখ। একাকী পড়ে থাকবে তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল। অগণিত অনুগামীকে কাঁদিয়ে চিরতরে চলে গেলেন পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীপা শর্মা। রবিবার দুপুরে হিমাচল প্রদেশের সাংলা ভ্যালিতে ভয়াবহ ধসে মৃত্যু হয় তাঁর। অথচ সেখানে ঘোরার ছবি মৃত্যুর ২৫ মিনিট আগেও ট্যুইটারে পোস্ট করেছিলেন দীপা। ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়ে তাঁর সহাস্য ছবি। তাঁর পিছনে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিসের সাইনবোর্ড। ৩৪ বছরের দীপা লিখেছেন, ভারতের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। নাগরিকদের এই পর্যন্ত আসার অনুমতি রয়েছে। এখান থেকে ৮০ কিলোমিটার গেলেই তিব্বত। যা বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে চীন। এই পোস্টের ঠিক ২৫ মিনিট পর পাহাড় ধেয়ে আসে সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত। রবিবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিট নাগাদ কিন্নরের সাংলা ভ্যালিতে ধস নামে। বাতসেরি থেকে চিটকুলের মাঝামাঝি জায়গায় এই ঘটনা ঘটে। বাতসেরি ব্রিজের উপর থাকা দীপাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে বড়বড় পাথরের চাঁই। ভেঙে পড়ে ব্রিজটি। সলিল সমাধি ঘটে ৯ জন পর্যটকের। তাঁদের সঙ্গে চিরঘুমের দেশে চলে যান দীপাও। এদিকে, সোমবার হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন, কুন্নুরের ওই অঞ্চলে ১০০-১২০ জন আটকা রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে সরকার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে উঠছে দেশ। বিভিন্ন রাজ্যে শিথিল হচ্ছে করোনা বিধি। খুলে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক পর্যটক কেন্দ্র। রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা চিকিৎসক দীপাও চেয়েছিলেন একঘেয়েমি কাটাতে। তাঁর ছিল গন্তব্য হিমাচল প্রদেশের নৈস্বর্গিক দৃশ্য উপভোগ। শুধু তাই নয়, ঘুরতে যাওয়া প্রতি মুহূর্তের ছবিও ট্যুইটারে আপলোড করে চলেছিলেন তিনি। পেশায় চিকিৎসক হলেও দীপা একজন প্রকৃতিপ্রেমী। ট্যুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যাও কম নয়। ডাক্তারি তরুণীর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন নেটিজেনরা। একের পর ট্যুইট করে করে দীপাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলেছেন তাঁরা।