কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার অসমের কাছাড় ও মিজোরামের কোলাশিব জেলার সীমানার লায়লাপুরে এই সংঘর্ষ বাধে। অসমের সরকারি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সূত্রপাত। মিজোরামের দিক থেকে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি গুলিও চলে। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে সীমানায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করে অসম প্রশাসন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মিজোরামের সীমানা লাগোয়া বাসিন্দারা। অসম পুলিসের সঙ্গে তাঁদের সংঘাত শুরু হয়ে যায়। বাসিন্দারা লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে যান। সব মিলিয়ে সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ২০ জন। তাঁদের মধ্যে সরকারি কর্মীরাও রয়েছেন। এই ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁরা ট্যুইট যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েন।
এদিন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটারের একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘কাছাড় থেকে মিজোরামে ফেরার পথে এক নিরাপরাধ দম্পতির গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের গাড়িতে ভাঙচুর করেছে গুন্ডা ও চোরেরা।’ এই ট্যুইটের কয়েক মিনিটের মধ্যে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা দেন হিমন্ত। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘জোরামথাঙ্গাজি আপনি যদি দয়া করে তদন্ত করেন, তাহলে দেখতে পারবেন, কেন মিজোরামের মানুষরা হাতে লাঠি ধরে আছেন এবং হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন? জনগণের কাছে আমাদের আর্জি, দয়া করে নিজেদের হাতে আইন-শৃঙ্খলা তুলে নেবেন না।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, বিষয়টি মিটিয়ে নিতে সরকারের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনা চলছে। কিছুক্ষণ পর আরও একটি ভিডিও ট্যুইট করে হিমন্ত। তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জোরামথাঙ্গার উদ্দেশে লেখেন, ‘কোলাশিবের (মিজোরাম) পুলিস সুপার আমাদের পোস্ট থেকে সরে যেতে বলছেন। তা না হলে হিংসা থামবে না বলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে আমরা সরকার চালাব? আশা করছি, আপনারা দ্রুত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবেন।’ অপরদিকে জোরামথাঙ্গাও সংঘাতের একটি ভিডিও পোস্ট করে অমিত শাহের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘শাহজি বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া দরকার।’ তবে ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। গত ২৯ জুনও সীমানা নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছিল অসম-মিজোরাম।