পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে দিল্লির এইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ‘ভারতই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে তৃতীয় তরঙ্গকে। আর আছড়ে পড়লেও প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে না।’ অর্থাৎ, কোভ-১৯ ভাইরাসের আক্রমণে প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম হবে বলে তিনি মনে করেন। তবে, এর জন্য মূলত তিনটি শর্ত চাপিয়েছেন গুলেরিয়া। এক, যথাযথ কোভিড বিধি পালন। দুই, অতন্দ্র তত্ত্বাবধান বা নজরদারি। তিন, যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণ কর্মসূচি সম্পন্ন করা।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শিশুদের জন্য বাজারে ভ্যাকসিন চলে আসবে। গুলেরিয়া বলেন, ফাইজার ও জাইডাসের ভ্যাকসিন শিশুদের কাজে লাগবে। দিল্লির এইমসে ইতিমধ্যেই ৬-১২ বছরের শিশুদের দ্বিতীয় পর্বের কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সম্ভবত ২-৬ বছরের শিশুদের দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল হবে। গুলেরিয়া বলেন, তৃতীয় দফার ঢেউ যদি আসেও, তাতে শিশুদের তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই। কারণ সেপ্টেম্বরেই টিকার কাজ শুরু হতে পারে।
দেশে কোভিডের দ্বিতীয়ের ধাক্কায় চরম দুর্দশার ছবি এখনও টাটকা। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই থিতু হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কোভিডের সেই বেয়াড়াপনা রোধ করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষেধক। এমনটাই অন্তত বলা হয়েছে সাম্প্রতিক সেরো সার্ভের রিপোর্টে। এদিন ওই রিপোর্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন গুলেরিয়াও। তিনি জানিয়েছেন, দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ রুখতে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তা বলে গা ছাড়া ভাব নিয়ে চললে মুশকিল। সেক্ষেত্রে গুলেরিয়ার পরামর্শ—‘তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলা যাবে না। তবে অদূর ভবিষ্যতে সংক্রমণ যে কিছুটা বাড়বে তা নিশ্চিত। সেটাকেই রুখে দেওয়া আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’
কিন্তু, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে গোটা দেশেই টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে ঢিমেতালে। রাজ্যগুলি প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন চেয়ে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাতে কী লক্ষ্যমাত্রা মেনে দ্রুত টিকাকরণ সম্ভব? গুলেরিয়া বলেছেন, ‘শুধু ভ্যাকসিনের অভাবকে দায়ী করলে ভুল হবে। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপামর মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।