পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কর্ণাটকের বিভিন্ন মঠের সন্ন্যাসীদের ডেকে নিয়ে এসে তাঁদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। এরপরই বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, আশা করছি আগামী রবিবার দিল্লি থেকে কোনও বার্তা আসবে। ওই দিনই বিজেপির কর্ণাটক সরকারের দু’বছর পূর্ণ হবে। দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির সময় নতুন কোনও সিদ্ধান্তের জন্য আমি প্রস্তুত। ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে দেওয়ার পর কর্ণাটকে বিজেপির মু্খ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। দলের সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের নাম রয়েছে প্রথম সারিতে। অনন্তকুমারের মৃত্যুর পর এবার ইয়েদুরাপ্পাও সরে গেলে কর্ণাটকে বিজেপির একটি যুগের অবসান হয়ে যাবে।
ইয়েদুরাপ্পা অবশ্য রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কোনও আভাস দেননি। বরং বলেছেন, আবার সরকারে দলকে নিয়ে আসাই হবে তাঁর পরবর্তী লড়াই। সুতরাং ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তাঁকে এখনই অবসরে পাঠানো সম্ভব হবে না মোদি ও অমিত শাহের পক্ষে, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, রাজনীতিতে থাকলে কর্ণাটক বিজেপিতে ইয়েদুরাপ্পাই হয়ে থাকবেন ভরকেন্দ্র। সুতরাং তিনি প্রথম রাউন্ডে সরে গেলেও মোদি ও অমিত শাহের বাছাই করা মুখ্যমন্ত্রীকে যে তিনি কিছুতেই স্বস্তিতে থাকতে দেবেন না সেটা ক্রমেই স্পষ্ট।
এপ্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইট করেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি লিখেছেন, ইয়েদুরাপ্পার হাত ধরেই প্রথমবার কর্ণাটকে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। তিনি চামচার মতো আচরণ করেন না। তাই কেউ কেউ তাঁকে পদচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তাঁকে ছাড়া কর্ণাটকে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতে পারত না। কেন আবারও একই ভুল করা হচ্ছে?