পূর্ব গোদাবরী (অন্ধ্রপ্রদেশ): করোনা আতঙ্কে দীর্ঘ দিন কঠোর বিধি পালন করছে দেশবাসী। দূরত্ব বিধি, স্যানিটাইজেশন, লকডাউন—নানা রক্ষ্মণাত্মক কৌশলের মধ্য দিয়ে চলছে দেশ। এমন অবস্থায় আতঙ্কের ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এল অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায়। করোনার হাত থেকে বাঁচতে টানা ১৫ মাস গৃহবন্দি রইলেন পরিবারের তিন মহিলা। খাওয়া দাওয়া থেকে শৌচকর্ম, একটি অন্ধকার ছোট ঘরেই সব। দীর্ঘদিন স্নানহীন। দেহ ক্রমশ রুগ্ন আকার ধারণ করেছে। মাথার চুলে জট বেঁধেছে। অবসাদের ছাপ দেহে মনে। একান্ত প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন বাড়ির কর্তা ও ছেলে। কিন্তু গৃহকর্ত্রী ও দুই মেয়ে ১৫ মাসে সূর্যের মুখ দেখেননি বললেই চলে। কদলি গ্রামের প্রধান চোপাল্লা গুরুনাথ বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কায় ওই পরিবারের প্রতিবেশী এক মহিলা করোনা সংক্রমণে মারা যান। তারপরই আতঙ্ক ঘিরে ধরে গোটা পরিবারকে। তিন মহিলা বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেন। একান্ত প্রয়োজনে শুধু বাইরে বেরিয়েছেন পরিবারের কর্তা ও ছেলে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বুধবার মা ও দুই মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিস। রুগ্ন অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। সঙ্গে চলছে কাউন্সেলিং।
কীভাবে জানা গেল ঘটনার কথা? সম্প্রতি বাড়ি করার জন্য ওই পরিবারকে একটি জায়গা দেয় প্রশাসন। সেই সংক্রান্ত কাগজে সই করাতে এক কর্মী তাঁদের বাড়ি পৌঁছন। কিন্তু পরিবারের কেউ বাইরে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। এরপর খোঁজ নিতেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। খবর দেওয়া হয় পূর্ব গোদাবরী থানায়। পুলিস এসে তিনজনকে উদ্ধার করে।