দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
সেই তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত ডাক্তার, নার্সদের সহায়তা করার জন্যই আরও এক লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘোষণা করেছেন। এই নতুন স্বাস্থ্যকর্মীদেরও কোভিড যোদ্ধা হিসেবেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ১ লক্ষ অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিতে তিন মাসের একটি ক্র্যাশ কোর্স দেওয়া হবে। তারপর তাদের কাজে লাগানো হবে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা চিকিৎসা পরিকাঠামোয়।
আশ্বাস দিয়ে মোদি বলেছেন, এভাবে সরকারের থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর তাঁরা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নিজেদের যথেষ্ট যোগ্য স্থানেই নিয়ে যাবেন। প্রশিক্ষণের সময় এই ১ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে বিশেষ ভাতাও দেওয়া হবে। তাদের অস্থায়ীভাবে যখনই কোনও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় যুক্ত করা হবে, তখনই দেওয়া হবে বিশেষ ভাতা। কিন্তু এই ১ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণের পর স্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হবে কি না তা নিয়ে এই পরিকল্পনায় কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
কোভিড সঙ্কটে সবথেকে বেশি অভাব দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী তথা প্যারা মেডিকেল স্টাফের। দেশজুড়ে দাবি উঠেছিল, অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণ করা হোক এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হোক সরকারি স্তরে। তাই আশা করা হয়েছিল, সরকারি স্তরেই নিয়োগ করা হবে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের। মোট ৬টি বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবাকে বাছাই করা হয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য। হোম কেয়ার, বেসিক কেয়ার, অ্যাডভান্সড কেয়ার, ইমার্জেন্সি কেয়ার, স্যাম্পল কালেকশন এবং মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সাপোর্ট। দেশের ২৬টি রাজ্যে ১১১ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই প্রকল্প শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই কৌশল বিকাশ যোজনার অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পের জন্য ২৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।