রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের কাছে রেলের কর্মী সংগঠন দাবি জানিয়ে বলেছে, অবিলম্বে দেশজুড়ে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা হোক। অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেনস ফেডারেশনের (এআইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের বৈঠকে একাধিকবার স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা শুরু করার দাবি জানিয়েছি। এমনকী রেলমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই আমাদের বলা হয়েছে, দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণেই রেগুলার ট্রেন চলাচল শুরু করা যাচ্ছে না।’ এই ব্যাপারে রেল বোর্ডের অন্যতম এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি) রাজেশ ডি বাজপেয়ি বলেন, ‘রেলমন্ত্রক নিয়মিত করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। ট্রেন যা চলছে, তা আপাতত সবই স্পেশাল যাত্রীবাহী হিসেবেই চলছে। যেখানেই চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানেই ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামীদিনে ধাপে ধাপে আরও ট্রেন বৃদ্ধি করা হবে। সেইমতো জোনগুলিকে নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে।’ রেলমন্ত্রকের ব্যাখ্যা, স্পেশাল ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ‘নম্বর’ পরিবর্তিত হয়েছে। রেগুলার ট্রেনের সঙ্গে আর কোনও ফারাক নেই। যদিও যাত্রীদের বড় অংশের অভিযোগ, অনেক সময়ই স্পেশাল ট্রেনে তুলনায় বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে তাদের। তবে এই অভিযোগ মানতে চায়নি রেল।
ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ২১ জুন থেকে বিভিন্ন রুটে ২৫ জোড়া অতিরিক্ত দূরপাল্লার ট্রেন চালানো হবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নিউ দিল্লি-কালকা শতাব্দী এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি-অমৃতসর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি-দেরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেস, কালকা-সিমলা এক্সপ্রেস প্রভৃতি। একইসঙ্গে শুক্রবার রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১ জুন থেকে ১৮ জুনের মধ্যে সারা দেশে অতিরিক্ত ৬৬০টি দূরপাল্লার মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জোনগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেল/এক্সপ্রেস স্পেশাল চলবে ৫৫২টি এবং উৎসব স্পেশাল চলবে ১০৮টি। উৎসব স্পেশাল এবং মেল/এক্সপ্রেস মিলিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলে যথাক্রমে অতিরিক্ত ৬৮ এবং ৬০টি ট্রেন চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।