কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবারই লোকসভা স্পিকারের কাছে পশুপতি ও তাঁর অনুগামী চার সাংসদ দাবি করেছিলেন, তাঁদের যেন আলাদা দল হিসেবে ধরা হয়। অন্যদিকে, চিরাগের পক্ষে ছিলেন ছয় সাংসদ। ওইদিনই এলজেপির প্রধান হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে, তা নিয়ে দু’পক্ষের টানাপোড়েন চলে। শেষে পশুপতিকে সংসদীয় বোর্ডের প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রস্তাবও দেন চিরাগ। কিন্তু তারপরও বুধবার পর্যন্ত দু’পক্ষের চাপানউতোর চলছে। দলের নেতা হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়ার জন্য লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লার দ্বারস্থ হন পশুপতি। আর কাকার সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেই অধ্যক্ষ বিড়লাকে পাল্টা চিঠি লিখেছেন চিরাগ। চিরাগ আরও জানিয়েছেন, পশুপতিপন্থী পাঁচ সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তাঁকেই এলজেপি নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হোক। কিন্তু বুধবার বিকেলে পাটনায় এসে পশুপতি দাবি করেন, ‘দলের সংবিধান বলছে, একজন ব্যক্তির একটাই পদ থাকতে পারেন। কিন্তু চিরাগ একাধারে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি, সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান, আর বিধানসভার দলনেতা ছিলেন। এটা কী করে সম্ভব! আমরা শুধু এটাই সংশোধন করেছি।’
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলের কর্তৃত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে চিরাগ ও পশুপতির এই লড়াই অনেক দূর গড়াবে। একদিকে, চিরাগকে দলের সভাপতি হিসেবে মানতে নারাজ পশুপতি গোষ্ঠী। অন্যদিকে, চিরাগ কার্যত স্বঘোষিত হিসেবেই এলজেপির নেতৃত্ব দিতে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে এলজেপির নেতা কে হবেন বা আগামী দিনে দলের ভবিষ্যতই বা কী হবে সেই প্রশ্নই রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছে। ছবি: পিটিআই