কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের বাড়ি ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ-আন্দোলনের কর্মসূচি নেয় অকালি। নেতৃত্বে ছিলেন দলের সুপ্রিমো সুখবীর সিং বাদল। বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। শামিল ছিলেন জোট শরিক বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি)-এর রাজ্য সভাপতি যশবীর সিং গঢ়িও। সমস্বরে তাঁরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে কোভিড-দুর্নীতিতে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিং সিধুকে বহিঃষ্কার করতে হবে। বিক্ষোভ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে যথারীতি পুলিসি ব্যারিকেড ছিল। নিরাপত্তাও ছিল জোরদার। কিন্তু সে সব তোয়াক্কা না করেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। মুহূর্তে পরিস্থিতি তেতে ওঠে। উত্তেজনা ছড়ায় ক্যাপ্টেনের বাসভবন এলাকা মোহালিতে। সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। একসময় উভয়পক্ষের ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান দাগতে হয় পুলিসকে। পরে সুখবীর সহ অকালি দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিস। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দলের প্রথম সারির নেতা বিক্রম সিং মাজিথিয়াও।
তবে, ক্যাপ্টেন যতই আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করুন, তাতে যে দুর্নীতি ইস্যুতে সরকারের ভাবমূর্তি ফেরানো বেশ কঠিন, তা মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। বিশেষত, সেই দুর্নীতি যখন স্পর্শকাতর কোভিড মহামারী ইস্যুতে। অকালি, বিএসপি’র একযোগে অভিযোগ, টিকার কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি বেহিসেবি খরচ করা হয়েছে। ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা রাখা হয়নি। এমনকী, কোভিড রোগীদের মেডিক্যাল কিট সহ মহামারী মোকাবিলায় যাবতীয় সামগ্রী কিনতে নয়ছয় করা হয়েছে রাজ্যের কোষাগার। সুখবীরের সাফ কথা, ‘আমাকে আটক করে লাভ নেই। বরং পদত্যাগ করুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই কেলেঙ্কারির তদন্তে অবিলম্বে নামানো হোক সিবিআইকে।’