কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল, রবিবার। সাংবাদিক বৈঠক করে সমাজবাদী পার্টির নেতা তেজনারায়ণ পান্ডে অভিযোগ আনেন, ১৮ মার্চ সকাল ৭.১০টা নাগাদ রাম মন্দিরের দু'কোটি টাকায় জমির ১২,০৮০ স্কোয়ার মিটার অংশ কিনেছিলেন রবিমোহন তিওয়ারি এবং সুলতান আনসারি। ঘড়ির কাঁটা ৭.১৫টা পার হতে না হতেই সেই জমি ১৮.৫ কোটি টাকায় বিক্রিও করে দেন রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে। এসপি নেতার দাবি, ওই জমি কেনার চুক্তির সময় হাজির ছিলেন রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র এবং অযোধ্যার মেয়র হৃষিকেশ উপাধ্যায়। এরপরই আরটিজিএসের মাধ্যমে রবিমোহন ও সুলতানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি টাকা পাঠানো হয়। এই ‘জমি দুর্নীতিতে’ নিয়ে সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা।
রাম মন্দিরের জমি দুর্নীতি নিয়ে সমাজবাদী পার্টির পাশে দাঁড়িয়েছে আম আদমি পার্টি। আপ নেতা সঞ্জয় সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু নথি প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, সন্ধ্যা সাতটা ১০ মিনিটে যে জমি দু'কোটি টাকায় কেনেন রবিমোহন ও সুলতান, পাঁচ মিনিটের ব্যবধানেই সেই জমি রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট কেনে ১৮.৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ, প্রতি সেকেন্ডে ওই জমির দাম বেড়েছে ৫.৫ লাখ টাকা। কটাক্ষের সুরে আপ নেতা বলেন, 'পৃথিবীর কোথাও এই হারে জমির দাম বাড়ে না। কিন্তু ভগবান রামের জন্মস্থানে তা হয়।'
এই ট্রাস্টে কোটি কোটি ভক্ত মন্দির তৈরির জন্য টাকা দিয়েছেন। যদি তাদের অর্থ নিয়ে এভাবে দুর্নীতি করা হয়, তাহলে বলা যায় ১২০ কোটি মানুষকে অপমান করা হয়েছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশের বিরোধী ওই দুই নেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিবিআই ও ইডি-র তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। কোন অ্যাকাউন্টে এই টাকা গিয়েছে, তাও তদন্ত করে দেখা উচিত বলেও দাবি তোলা হচ্ছে।
এদিকে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের মহাসচিব তথা বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা চম্পত রায় অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, রাম মন্দির চত্বরের সুরক্ষা এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত কারণে জমি কিনতে হচ্ছে ট্রাস্টকে। আর সেই কারণেই অনলাইনে স্ট্যাম্প পেপার-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথি কেনা হচ্ছে। আর সম্মতিপত্রের ভিত্তিতে কেনা হচ্ছে ওই সমস্ত জমি। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ‘অযোধ্যার সার্বিক বিকাশের জন্য’ জমি কিনতে শুরু করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। স্বাভাবিক কারণেই গোটা এলাকায় জমির দাম একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।