কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অভিযোগকারিণীর দাবি, গত ৬ জুন গৌরীগঞ্জের আমেথি জেলা হাসপাতালে মাকে ভর্তি করেন তিনি। কিন্তু, সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিনই তাঁকে লখনউয়ের রামমনোহর লোহিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে স্থানান্তরিত করা হয়। তরুণীর অভিযোগ, প্রথমে তাঁর মাকে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও পরে চারতলার একটি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরিজনদের দেখা করতে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। প্রচুর অনুনয়-বিনয়ের পর সাক্ষাতের ছাড়পত্র মিললে ওই তরুণী উপরে গিয়ে দেখেন, মায়ের অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। তাঁর দাবি, হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই মা তাঁকে ধর্ষণ ও মারধরের কথা জানান। তরুণীর অভিযোগ, এরপর শুক্রবার তাঁর মাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। তাই বাড়ি না গিয়ে মাকে গৌরীগঞ্জের জেলা হাসপাতালেই নিয়ে আসেন তিনি। হাসপাতালের সুপার জানান, ওই মহিলা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শনিবার লখনউয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করতে যান ওই তরুণী। কিন্তু পুলিস সেই অভিযোগ নেয়নি।
পরদিন আমেথিতে সফররত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে সটান হাজির হন ওই তরুণী। সবটা শুনে মন্ত্রী কথা বলেন আমেথির জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও সিএমও’র সঙ্গে। তারপরই জেলাশাসকের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। ডাঃ রামমনোহর লোহিয়া সংস্থানের এক মুখপাত্র অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সাফ জানান, এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। সেটা হলে অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।