পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গুজরাত উপকূল থেকে দু’লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁরা খোঁজ নেন। সরকারকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে সেনাবাহিনীর তিন বিভাগকেই তৈরি থাকতে বলেছিলেন মোদি।
এদিকে, ঝড়ের আগেই সকালে কেঁপে ওঠে গুজরাত। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ রাজকোট-সহ গুজরাতের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া উনা এবং রাজুলাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৮। তবে এই কম্পনে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঝড়ের দাপটে মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন এলাকা তছনছ হয়ে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ছ’জন। কর্ণাটকের শতাধিক গ্রাম লণ্ডভণ্ড। তাউতের তাণ্ডব দেখা গিয়েছে দমন-দিউতেও। গুজরাত লাগোয়া কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত গোটা এলাকা। সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। বিকেল থেকেই তার মাত্রা বাড়তে থাকে। মুম্বইতেও বৃষ্টির জেরে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ ছিল। সকাল থেকেই ঘণ্টায় ১১৪ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ফোন করেন দমন ও দিউয়ের লেফটেন্যান্ট গভর্নরকেও। রাজ্যগুলির প্রস্তুতি এবং কোথায় খামতি রয়েছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নেন মোদি। অন্যদিকে, চারশো জনেরও বেশি ব্যক্তিকে নিয়ে মুম্বই উপকূলে দু’টি বার্জ ভেসে চলে গিয়েছে। নৌকাগুলির খোঁজে রণতরী আইএনএস কোচি এবং আইএনএস কলকাতাকে নামানো হয়। নৌবাহিনীর সাহায্যে সেগুলি উদ্ধার করা হয়। মুম্বইয়ে তোলা পিটিআইয়ের ছবি