পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্যে প্রতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলায় সাপ্তাহিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ২.১৯ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, কলকাতা পুনে, দিল্লি, জয়পুর, চেন্নাই, পাল্লাকাড়, মুম্বই, নাগপুর, বেঙ্গালুরু, গঞ্জাম, লখনউ, নাসিকের মতো ২০টি বড় শহরে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে সবেচেয়ে উদ্বেগজনক খবর হল, এবার গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ এবং আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে।
রাজ্যগুলির সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এপ্রিল এবং মে মাসে শহরের তুলনায় গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। এপ্রিলে মোট আক্রান্তের ৪০.৮ শতাংশ যেখানে ছিল শহরে, সেখানে গ্রামে তা ৪৪.১ শতাংশ। একইভাবে মে মাসে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের ৩৪.৫ শতাংশ শহরে হলেও গ্রামে ৪৮.১ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা সহ গোটা দেশের ৩০টি জেলায় লাগাতার সংক্রমণ বাড়ছে। তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই উদ্যোগী কেন্দ্র। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক রাজ্যকে আগামী জুন মাসে ‘আনটাইড গ্রান্টস’ দেওয়ার কথা। কিন্তু গ্রামে যেভাবে করোনার করাল ছায়া ঘিরে ধরছে, তাতে আগাম অর্থ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রক। পঞ্চায়েত মন্ত্রকের চাহিদা মতো পশ্চিমবঙ্গ সহ ২৫টি রাজ্যকে ৮ হাজার ৯২৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত দেশে মাত্র ৩ কোটি ৫৬ লক্ষের কিছু বেশি নাগরিক ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ পেয়েছেন। তাই নাগরিকদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেছেন, ‘সময় মতো দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিন। দ্বিধা করবেন না।’ মন্ত্রকের তথ্যই বলছে, দেশে এখনও ৯ লক্ষেরও বেশি সক্রিয় করোনা আক্রান্তকে অক্সিজেন সার্পোটে রাখতে হয়েছে। আইসিইউতে রয়েছেন ৪ লক্ষ ৮৮ হাজারেও কিছু বেশি। এই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি রয়েছে।