পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
‘দি ল্যানসেট’-এর সাম্প্রতিক সংস্করণের সম্পাদকীয়তে স্পষ্ট হয়েছে বিরোধীদের তোলা অভিযোগই। লেখা হয়েছে, ভারত সরকার কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার চেয়ে ট্যুইটারে সমালোচনামূলক মন্তব্য মুছতে বেশি জোর দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা বন্ধ করার এই প্রচেষ্টা ‘ক্ষমার অযোগ্য’। ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই সম্পাদকীয়তে। তাদের দাবি, আগামী ১ আগস্ট নাগাদ ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াবে অন্তত ১০ লক্ষ। পত্রিকার মতে, এই আশঙ্কা যদি সত্যি হয়, তাহলে বলতে হবে সেই বিপর্যয়ের সম্পূর্ণ দায় মোদি সরকারের। দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও সরকার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্মতি দিয়েছে। বহু মানুষের জমায়েতে রাজনৈতিক সভা করে প্রশাসন তাদের বেপরোয়া মনোভাবের প্রমাণ দিয়েছে।
দেশজুড়ে হাহাকারের ছবি এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়া। হাসপাতালে বেড নেই। শ্মশানে খালি নেই চিতা। এমন দুর্দিনের মাস খানেক আগেই, মার্চের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ঘোষণা করে দেন, ভারতে করোনা মহামারীর ‘খেলা শেষ’। কিন্তু কোভিড যে এভাবে নাকানিচোবানি খাওয়াবে, আঁচ করতে পারেনি মোদি সরকার। ‘দি ল্যানসেট’-এর মতে, মাঝপথেই যুদ্ধ জয়ের ঘোষণা ভারতের সঙ্কট বাড়িয়েছে। দেশব্যাপী হার্ড ইমিউনিটির কথা বলে হিতে বিপরীত করেছে সরকার। কারণ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রির্সাচের সমীক্ষা জানায়, জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতের ২১ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তা সত্ত্বেও করোনা মোকাবিলায় গঠিত টাস্কফোর্স এপ্রিল মাস পর্যন্ত কোনও বৈঠকে বসেনি। সে সময় মোদি ব্যস্ত ছিলেন ভোট প্রচারে।
করোনা টিকাকরণ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পত্রিকা। ভারতের মাত্র ২ শতাংশ জনতা এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছেন। রাজ্যে রাজ্যে টিকা বণ্টনের অসাম্যের দিকটিও উল্লেখ করা হয়েছে। অক্সিজেনের অভাব ও হাসপাতালে অক্সিজেন জোগানে সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে তাদের পরামর্শ, ভুল শুধরে নিয়ে পরিকাঠামো বদল করতে হবে। শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র অঞ্চলে ভ্যাকসিন পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এরপরও কি হুঁশ ফিরবে সরকারের? নাকি শাসকের রাজনীতি চলবে যথা পূর্বং? উত্তর এখনও অজানাই।