কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ফলে বিরোধীরা কমিশনের কাজকর্মের যে সমালোচনা করছেন, তার সঙ্গে তাদেরই আইনজীবীর মত কার্যত মিলে যাওয়ায় নতুন করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৯ থেকেই তাঁর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে কোনও মামলা ফাইল করা হয়নি। এমনকী সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টের তীব্র সমালোচনাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের মামলাটিও নয়। তাই তাঁর ইস্তফায় কমিশনের ইমেজে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশন যতই দাবি করুক, যে ‘সময়ে’ তিনি সরে দাঁড়ালেন, তা অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। তাই প্রশ্ন উঠছে, দু’বছর ধরে বসে থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি ইস্তফা দেননি? এই সময়টাই কেন বেছে নিলেন? এর উত্তর জানতে চেয়ে আইনজীবী মোহিত ডি রামের মোবাইলে বারবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ল’ বিনয় কুমার পাণ্ডেকে তিনি যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে ক্ষোভের কথাই উঠে এসেছে। বিনয়ী ভাষায় কমিশনকে আইনজীবী মোহিত ডি রাম লিখেছেন, ২০১৩ থেকে স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের হয়ে কাজ করছি। তার জন্য নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। কিন্তু ইদানীং লক্ষ করছি, আমার মতের সঙ্গে কমিশনের কাজের ধরন মিলছে না। তাই কমিশনের সঙ্গে কাজ করার দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। আমার কাছে কমিশনের যেসব মামলা পড়ে আছে, তা ফেরত দিয়ে দেব।
সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশনের অন্যতম স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল ছিলেন ‘অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড’ মোহিত ডি রাম। প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের মাধ্যমেই মামলা দাখিল করতে হয়। যে কোনও আইনজীবী মামলা ফাইল করতে পারেন না।