পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাহুল গান্ধী দু’টি দাবি করেছিলেন। ১) অবিলম্বে দেশি-বিদেশি আরও ভ্যাকসিনের অনুমোদন। আর ২) টিকাপ্রদানের বয়ঃসীমা কমিয়ে আনা। কারণ, যত বেশি মানুষ ভ্যাকসিন পাবে, ততই সংক্রমণ প্রবণতা কমবে। দেখা যাচ্ছে, বিরোধীদের একের পর এক প্রস্তাব ও সুপারিশকেই শেষ পর্যন্ত মান্যতা দিতে বাধ্য হচ্ছে মোদি সরকার।
এক বছরের মধ্যে করোনার নতুন ধাক্কায় আরও বেসামাল হয়ে পড়েছে মোদি সরকার। দেশজুড়ে ভ্যাকসিন, অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড এবং পরীক্ষা সরঞ্জামের চরম আকালে হাহাকার শুরু হয়েছে। সর্বত্র দেখা যাচ্ছে, হাসপাতাল বেড নেই। অমিল রেমডেসিভির, ফ্যাবি ফ্লু, টসিলিজুমাবের মতো কোনও ওষুধও। এমনকী রাজ্যে রাজ্যে দেখা যাচ্ছে মর্মান্তিক দৃশ্য। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা এমন বেড়েছে যে, শ্মশানে জায়গা না পেয়ে রাস্তা পাশের ফুটপাথেই করোনায় মৃতদের শবদেহ সৎকার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চেয়ে একের পর এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি আছড়ে পড়ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। প্রত্যেকের অভিযোগ, যথাবিহিত সহায়তা ও সমন্বয় পাওয়া যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে। পাশাপাশি ডবল ইঞ্জিনের সরকার উত্তরপ্রদেশের করোনার অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, এলাহাবাদ হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। সোমবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, লখনউ, বারাণসী, প্রয়াগরাজ, গোরক্ষপুর ও কানপুরে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন করতে হবে। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদরা অবশ্য এর মধ্যেই বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করেছেন। পীযূষ গোয়েলের সাফাই, প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় দিনে ১৯ ঘণ্টা পরিশ্রম করছেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রবিবার চিঠি দিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে। সেই চিঠির অন্যতম প্রধান প্রতিপাদ্য ছিল, ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ে স্বচ্ছতা। সোমবার রাজনৈতিক মহলে বিস্ময় সৃষ্টি হয় যে, ওই চিঠির জবাব মোদি দেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনমোহন সিংকে যে উত্তর দিয়েছেন, সেটি কংগ্রেসকে আক্রমণ করার কটাক্ষে পূর্ণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যে প্রস্তাব তিনি দিয়েছেন, সেগুলি কংগ্রেসকেও পালন করতে বললে ভালো হয়। তাছাড়া মনমোহন সিং সম্ভবত জানেনই না, তাঁর প্রস্তাবগুলি আগেই সরকার গ্রহণ করেছে। সোমবার ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্তের পর কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, তাহলে তো দেখা যাচ্ছে, মনমোহন সিং চিঠিতে যা যা বলেছিলেন, ঠিক সেই সিদ্ধান্তগুলিই নিতে হল!