পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাণিজ্য মন্ত্রক বলেছে, ২০২০ সালের এই সময়ের তুলনায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা বাহুল্য, লকডাউন হয়ে গিয়েছিল মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি গত সপ্তাহেই খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারও বেড়ে গিয়েছে। খুচরো সূচক মূল্য এবং পাইকারি সূচক মূল্য উভয়ই ঊর্ধমুখী হওয়ায় আগামী কয়েকমাসে চরম মূল্যবৃদ্ধির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পাইকারি মূল্য সূচকের আকাশ ছোঁয়া বৃদ্ধি প্রবণতার পাশাপাশি ভারতের টাকার আন্তর্জাতিক বাজারের বিনিময় মূল্যও তলানিতে ঠেকেছে। ডলারের বিনিময়ে টাকার মূল্য ৭৫ টাকা স্পর্শ করেছে। এই প্রবণতা অটুট থাকলে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বিপুল ধাক্কা খাবে। আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়বে। বাড়বে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতিও। নির্দিষ্ট ভারসাম্যের মধ্যে যা রাখতে মরিয়া ছিল অর্থমন্ত্রক। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে মূল্যবৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে রেপো রেটও অপরিবর্তিত রেখেছিল।
পাশাপাশি আশা করা হয়েছিল, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত নতুন আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.২ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। কিন্তু শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান নতুন করে সঙ্কটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এদিকে জানা যাচ্ছে, করোনার কারণে রাজ্যে রাজ্যে আংশিক লকডাউনের প্রবণতা শুরু হওয়ার পর এবার পুনরায় গরিব মানুষ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নতুন কোনও প্যাকেজ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর বেশি দেরি না করে দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্যাকেজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শোনা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, নীতি আয়োগ ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে সম্ভাব্য প্যাকেজ নিয়ে।