পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একদিকে রাজ্যে করোনা লাফিয়ে বাড়ছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নীতির জন্য ৪৫-এর নীচের মানুষ এখনই টিকা পাবেন না। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কী করবেন? এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসছে, ২০২০ সালের মতো নয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে ৪৫-এর নীচে থাকা মানুষজনের উপরও। বয়স কম মানেই করোনা তাকে ছোঁবে না বা কম ছোঁবে, নিজের সেই চরিত্র বদল করে নিয়েছে কোভিড ১৯।
চল্লিশের কোঠায় বয়স তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ময়ূখ চক্রবর্তীর। বললেন, ভয় তো লাগছেই। করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের বয়সি মানুষজনকেও কাহিল করে ফেলছে। এমনকী বাচ্চারা প্রচুর সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। আমার সোজা কথা, ৪৫-এর নীচে টিকাকরণ চালুতে দ্রুত ছাড়পত্র দিক কেন্দ্র। কিন্তু তার আগে টিকার সরবরাহ সুনিশ্চিত করুক। দু’বার টিকা পাওয়ার মতো স্টক নিশ্চিত করুক। না হলে শুধু গিমিক হবে, কাজের কাজ হবে না। তরুণ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ যোগিরাজ রায় বলেন, আমার বর্তমান কর্মস্থল আইডি হাসপাতালের আইসিইউতে অন্তত ২০ শতাংশ রোগীর বয়স ৪৫-৫০-এর নীচে। কয়েকজনকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে— এই যায় সেই যায় অবস্থা। জেনারেল ওয়ার্ডের ১০ শতাংশ রোগীর বয়স ৪৫-এর নীচে।
কোভিড গত বছরের থেকে সংক্রমণের চরিত্র বদল করেছে, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তাহলে উপায়? ডাঃ রায় বলেন, উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করান। বাড়িতে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপুন। কম দেখলে সোজা হাসপাতালে চলে আসুন। তবে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক থাকলে অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়াবেন না। রাজ্য সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল বলেন, রাস্তা একটাই, মাস্ক, মাস্ক আর মাস্ক। এখনও বলছি, দয়া করে মাস্ক পরুন।-ফাইল চিত্র