কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে লাগামছাড়া সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিল মহারাষ্ট্র সরকার। বুধবার রাত থেকে ১৫ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করল উদ্ধব থ্যাকারে সরকার। এই ১৫দিন রাজ্যজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। বুধবার রাত ৮টা থেকে শুরু হচ্ছে জনতা কার্ফু। গত বছরের মতো পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের রাস্তায় না হাঁটলেও জারি করা হল একঝাঁক বিধিনিষেধ। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শুধু জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। বাকি দোকান-পাট সবই বন্ধ থাকবে। গণ পরিবহণ চললেও, তা শুধু জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। মঙ্গলবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারের ঘোষণা, এই ১৫ দিন রাজ্যে বন্ধ থাকবে সব বেসরকারি দপ্তর। বাড়তে থাকা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে স্কুল, কলেজ, থিয়েটার, খেলার মাঠ, পার্ক ও জিম বন্ধ রাখা হবে। রেস্তরাঁগুলিতে চালু থাকবে শুধুমাত্র টেকঅ্যাওয়ে পরিষেবা। ভিড় এড়াতে কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিস। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তের লকডাউন চালু হয়েছে। চলছে নাইট কার্ফুও। তারই মধ্যে আরও একঝাঁক কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা হল এই রাজ্যে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের েবশ কয়েকজন আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আইসোলেশনে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৩৬ জন। দৈনিক সংক্রমণের ৮০.৮০ শতাংশই মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি সহ ১০টি রাজ্যে। শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার৭৫১ জন। এর ঠিক পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (১৩ হাজার ৬০৪) ও ছত্তিশগড় (১৩ হাজার ৫৭৬)। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতেও ১৩ হাজার ৪৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কুম্ভমেলার মধ্যে গত দু’দিনে হরিদ্বারে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার জন। দেশজুড়ে সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকায় সুস্থতার হার আরও কমে হল ৮৯.৫১ শতাংশ। ফলে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৯৮ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। দৈনিক মৃত্যুতেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র (২৫৮ জন)। এর ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী মহামারীর সূচনা থেকে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৯৭ জন। মৃত্যুহার কমে দাঁড়িয়েছে ১.২৫ শতাংশে। বাড়তে থাকা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে গতি বাড়ানো হয়েছে টিকাকরণে। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রের ঘোষিত ‘টিকা উৎসব’ তৃতীয় দিনে পড়ল। দেশে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১০ কোটি ৮৫ লক্ষের বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ৪০ লক্ষের বেশি ডোজ। বাড়তে থাকা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন অংশেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে। তবে তারই মধ্যে দেরাদুনে নাইট কার্ফুয়ের নির্ঘণ্টে কিছুটা বদল আনা হল। রমজান ও নবরাত্রির কথা মাথায় রেখে রাত ১০টার পরিবর্তে কার্ফু চালু হবে রাত সাড়ে ১০টা থেকে। চলবে ভোর ৫টা পর্যন্ত।