বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অন্যদিকে, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) ইমার্জেন্সি ইউজের ছাড়পত্র পেলেও স্পুটনিক-ভি কবে থেকে ভারতের করোনা টিকাকরণ কমর্সূচিতে যুক্ত হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেন্দ্রের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির চেয়ারম্যান তথা নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ডাঃ বিনোদ কুমার পল মঙ্গলবার বলেন, সম্পূর্ণ তৈরি ভায়াল আমদানি, নাকি এদেশে তৈরি করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে স্পুটনিক যুক্ত হবে, তা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ওদিকে, বাকি বিদেশি ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলির জন্য ভারতের দরজাও খোলা হল জানিয়ে বিনোদ কুমার পল বলেন, এর জন্য কিছুটা শিথিল হয়েছে নিয়মও।
এখন সাধারণ মানুষকে করোনার ওই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করার পরও স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে ‘ব্রিজিং স্টাডি’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যাবে। সাধারণ যেসব নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তার মধ্যে থেকে প্রথম ১০০ জনের উপর সরকার কড়া নজর রাখবে। দেখা হবে আদৌ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না।
কিন্তু আচমকা ছাড়পত্রের নিয়ম বদল হল কেন? গোড়াতেই তা করলে তো অনেক আগেই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা যেত, সংক্রমণ তথা মৃত্যুও রোখা যেত? প্রশ্ন করায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, বিদেশে ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রেজাল্ট, সাধারণের উপর প্রয়োগে সাফল্যের তথ্য, কার্যকারিতা খতিয়ে দেখেই বিশেষজ্ঞ কমিটি এই ছাড়পত্রের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া ভারতে এখন ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। যত বেশি টিকা আসবে, ততই ভালো, মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, বিশেষ ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে এখনই চীনের কোনও টিকাকে এদেশে চালুর পরিকল্পনা মোদি সরকারের নেই। এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বলেন, এখন স্রেফ আমেরিকা, ইউরোপ এবং জাপানে যে ভ্যাকসিন ইমাজেন্সি ইউজে সফল, তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ওদিকে, রাজ্যগুলির টিকা ঘাটতির অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানান, কোথাও ভ্যাকসিনের অভাব নেই। এখনও রাজ্যগুলির হাতে ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ২০ হাজার ৬৯৩ টি ডোজ রয়েছে। আসছে আরও ২ কোটিরও বেশি ডোজ। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সহ বড় রাজ্যগুলিকে চারদিনের ডোজ একত্রে দেওয়া হয়।