কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কে টি জালিল আদতে সিপিএম সমর্থিত নির্দল বিধায়ক। বিরোধীদের অভিযোগ, পিনারাই বিজয়নের প্রত্যক্ষ মদতেই স্বজনপোষণ করেছেন কেরলের ওই পদত্যাগী মন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমনিতেই সোনা পাচার কেলেঙ্কারির মতো বিতর্কিত ইস্যুকে মাথায় রেখেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে হয়েছে পিনারাই বিজয়ন এবং কেরল সিপিএমকে। এবার সেই মন্ত্রিসভার সদস্যর গায়ে স্বজনপোষণের দাগ লাগায় রাজ্য রাজনীতিতে সামগ্রিকভাবে আরও বেশি কোণঠাসা হতে হবে সিপিএম তথা এলডিএফকে। কে টি জালিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অবৈধভাবে তাঁর ভাইকে কেরলের স্টেট মাইনরিটিস ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার পদে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই ইস্যুতেই শুক্রবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট দেয় লোকায়ুক্ত এবং তাতে এও উল্লেখ করে যে, কে টি জালিলের আর তাঁর পদে থাকা উচিত নয়।
জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট রিপোর্টের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন জালিল। কিন্তু সেই আর্জি নিয়ে কোনও রায় আদালত দেয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এরপরে আর স্বপদে আসীন থাকা সম্ভব হয়নি পিনারাই বিজয়ন মন্ত্রিসভার ওই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় জালিল লিখেছেন যে, তিনটি সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করলেও কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। নীতির কারণে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিপিএমের পলিটব্যুরো তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং কেরল সিপিএমের শীর্ষ নেতা এম এ বেবিও একই সুরে বলেছেন, ‘বামপন্থী দলে নীতি এবং আদর্শই আসল। কে টি জালিলও তা জানেন এবং মানেন। আইনি পথে যা করার, তিনি তাই করছেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নীতির কারণে তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত দল এবং সরকারের কাছে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য।’
কেরলের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রমেশ চেন্নিথালা অবশ্য কে টি জালিলের পদত্যাগ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, ‘নীতির কারণে এই সিদ্ধান্ত হলে পদত্যাগ করতে তিনদিন সময় নেওয়া হল কেন? এর মধ্যে কোনও নীতি, আদর্শের ব্যাপার নেই। কে টি জালিলের কাছে পদত্যাগ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।’ কেরল বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেন, ‘স্বজনপোষণের আরেক নাম সিপিএম। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ স্পষ্ট বলে দিচ্ছে, এই বেআইনি নিয়োগে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের প্রত্যক্ষ মদত ছিল। আর একদিনও সরকারে থাকার নৈতিক অধিকার তাঁরা হারিয়েছেন। পিনারাই বিজয়নেরও পদত্যাগ করা উচিত অবিলম্বে।’