নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘কৃষকদের সঙ্গে কোনওরকম চ্যালেঞ্জে যাবেন না। সামলাতে পারবেন না।’ শনিবার কেন্দ্রকে ফের এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের মোদি-বিরোধী আন্দোলন শনিবার শততম দিনে পড়েছে। এই দিনটিকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালন করেছেন কৃষকরা। শুধু তাই নয়। কার্যত নজিরবিহীনভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুণ্ডলি-মানেসর-পলওয়াল (কেএমপি) এক্সপ্রেসওয়ে এদিন পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। ১৩৬ কিলোমিটার লম্বা এই কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ে ওয়েস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবেও পরিচিত।
শুধুমাত্র ছয় লেনের এই গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে জায়গায় জায়গায় অবরুদ্ধ করে রাখাই নয়, এদিন নিকটবর্তী টোল প্লাজাগুলিও দখল করে নেন চাষিরা। কোনও টোল না দিয়েই বেরিয়ে যেতে দেওয়া হয় যানবাহনকে। আন্দোলনরত কৃষকরা হুঙ্কার দিতে থাকেন, ‘যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ করা না হচ্ছে, ততদিন এভাবেই আন্দোলনে শামিল হবেন কৃষকরা।’
আগামীকাল, সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দিল্লি সীমানার বিক্ষোভস্থলগুলিতে আন্দোলনের পুরোভাগে মহিলা চাষিদের এগিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনেও চাষিদের দাবি পূরণ করার ব্যাপারে কোনওরকম পদক্ষেপ না করার অভিযোগে এদিন কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস। দলের নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, ‘যাঁদের আটকাতে সীমানায় পেরেক পুঁতে দিয়েছে সরকার, তাঁদের বীর সন্তানরাই দেশের সীমান্তে প্রাণ বাজি রেখে লড়াই করছেন।’ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিযোগ, ‘চাষিদের অসম্মান করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে।’ জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই কেন্দ্র-বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে চলেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা।