পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ভারত জানিয়েছিল, এই চুক্তির প্রতি ভারত সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই সবদিক বিবেচনা করে অবশ্যই তিস্তা নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত শীঘ্রই হবে। এর বেশি কিছু ভারত জানায়নি। এবারও মোদির বাংলাদেশ সফরে তিস্তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রধান কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তির বিপক্ষে। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর চাপেই পিছু হটছে কেন্দ্র।
উত্তরবঙ্গের মানুষের তীব্র জলসঙ্কট হবে এই চুক্তির ফলে, এই দাবিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই অনড়। তিনি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা অন্য নদীগুলির জলবন্টন নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু তিস্তা উত্তরবঙ্গের লাইফলাইন। যতক্ষণ না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ ভারত এই চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হতে পারছে না। আবার ভোটের প্রাক্কালে বাংলাদেশে গিয়ে এই চুক্তি নিয়ে অতিরিক্ত আগ্রহী হতেও চাইছে না মোদি সরকার। কারণ, সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল পাল্টা রাজনৈতিক প্রচারের সুযোগ পেয়ে যাবে। এই কারণেই এবারও তিস্তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত চুক্তি হচ্ছে না। ভারতের বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি মতুয়া সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দির দর্শন করতে চান। বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই চূড়ান্ত সফরের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে।