লখনউ: উত্তরপ্রদেশে নারী নিগ্রহের ঘটনায় কিছুতেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না। আর তার জেরেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলল বিরোধীরা। প্রতিবারই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। তা সত্ত্বেও এই ধরনের অপরাধে রাশ টানা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। হাতরাস, আলিগড়, উন্নাও...তালিকা ক্রমশই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। প্রতিক্ষেত্রেই উঠছে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। যদিও তা মানতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভালো। এদিকে বুধবারও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে যোগী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ট্যুইটারে রাহুল লিখেছেন, বিজেপির শাসনে উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি দিনের পর দিন আরও খারাপ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার এই অবস্থা সকল সম্প্রদায়ের জন্যই অভিশাপ। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বোন প্রিয়াঙ্কাও। তিনি বলেন, মামলা প্রত্যাহার না করায় হাতরাসে নির্যাতিতার বাবা খুন হয়েছেন। বুন্দেলশহরে একটি বাচ্চা মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যেকদিন রাজ্যের কোনও না কোনও পরিবার সুবিচারের জন্য ফুঁপিয়ে কাঁদছে। যদিও রাজ্যে সাম্প্রতিক অপরাধের জন্য সমাজবাদী পার্টি (সপা)-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বুধবার বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন প্রতিটি অপরাধের সঙ্গে সপা’র নাম জড়িয়ে পড়ছে? আসলে ‘সমাজবাদী’ আন্দোলন প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। কিন্তু, নেতৃত্বরা তা মানতে চাইছেন না।
গত সোমবার হাতরাসে এক নিগৃহীতার বাবাকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে গৌরব শর্মা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, গৌরব সমাজবাদী পার্টির কর্মী। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। দলের মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরী বলেন, গৌরব সপা’র কেউ নয়। বরং বিজেপির সক্রিয় কর্মী। বিজেপির নেতাদের সঙ্গে তার অনেক ছবি রয়েছে।
বিরোধীরা যাই বলুক, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র রেকর্ড কিন্তু অন্য কথা বলছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, যোগী জমানায় মহিলাদের উপর অত্যাচার ও অন্যান্য অপরাধের সংখ্যা কমেছে। তবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিরোধী দলের দাবি, সিংহভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ নথিভুক্তই হয় না।