রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তেজস্বী যাদব এবং অখিলেশ ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন। লালু-পুত্র হোক বা মুলায়ম-পুত্র... একই সুরে তাঁরা সরাসরি বিজেপি বিরোধিতা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন ‘ডবল ইঞ্জিন সরকারের’ টোপ নিয়েও। তাঁদের সাফ কথা, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ—দুই রাজ্যেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি গেরুয়া শিবির। কাজেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে সরাসরি সমর্থন দিয়েছেন তাঁরা। এই বিরোধিতার রাজনীতিতে বৃত্তটা এবার সম্পূর্ণ করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দল জানিয়ে দিয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপেরও সমর্থন তৃণমূল সুপ্রিমোরই পক্ষে। আম আদমি পার্টির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিল্লির নেতা সঞ্জয় বসু বুধবার জানান, ‘আমরা আদ্যন্ত বিজেপি বিরোধী। তাই বিজেপির সঙ্গে যে রাজনৈতিক দলই টক্কর দেবে, নৈতিকভাবে তাদের সমর্থন করি। সেই লক্ষ্যেই নো ভোট টু বিজেপি ক্যাম্পেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মমতাকেই ভোট দিন, এমনটা আমরা সরাসরি বলছি না। বিজেপিকে ভোট নয়— আমাদের জোর এই স্লোগানে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বাংলা সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে পছন্দের নাম উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই।’
পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের দলের অবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কাকে চায় আম জনতা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সমীক্ষা চালায় আম আদমি পার্টি। এবং একেবারেই নিঃশব্দে। প্রশ্ন ছিল, কাকে মুখ্যমন্ত্রী চান? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, নাকি সূর্যকান্ত মিশ্র? দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমানের মতো ১৭টি জেলার ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যোগ দিয়েছিলেন ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি ভোটাররা। তাতেই জানা গিয়েছে, বাংলার ৫২ শতাংশ মানুষ মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে চান। একইসঙ্গে তাঁদের প্রার্থনা, আর যাই হোক, যেন বিজেপি না আসে।
অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা আপের নাম কতজন শুনেছেন পশ্চিমবঙ্গে? নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় তাও বুঝে নিয়েছে আপ। উত্তর মিলেছে ৪৮ শতাংশ। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রার্থী দেবেন না বলেই ঠিক করেছেন কেজরিওয়াল। কারণ, আপের প্রধান রাজনৈতিক শত্রু বিজেপি। যার সঙ্গে মূলত মোকাবিলা করছেন মমতা। ফলে যত সামান্যই হোক না কেন, প্রার্থী দিয়ে বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগে নারাজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাই বিধানসভায় কোনও প্রার্থী দেওয়া তো হচ্ছেই না, উল্টে বাংলায় বিজেপিকে রুখতে তলে তলে কাজ করছে আপ।