পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার রেকর্ডেড ফিউচার জানিয়েছে, ভারতীয় উপকূল ব্যবস্থায় চীনা হ্যাকাররা এখনও সক্রিয়। সংস্থার প্রধান স্টুয়ার্ট সলমন বলেন, ভারতের একটি সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য চীনা হ্যাকাররা এখনও হাতিয়ে চলেছে। হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য রুখতে ভারতের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এতকিছুর পরেও চীনা হ্যাকারদের সম্পূর্ণভাবে রোখা যায়নি। রেকর্ডেড ফিউচারের এই রিপোর্ট নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। রবিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত বছর মুম্বইতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পিছনে চীনা হ্যাকারদের যোগ ছিল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরে কে সিং সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, মানুষের ভুলেই দেশের বাণিজ্যনগরীতে এই বিপর্যয় ঘটেছিল। তবে এই মন্তব্যে থামছে না বিতর্ক। মঙ্গলবার তেলেঙ্গানার বিদ্যুৎ দপ্তরের (এসএলডিসি) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কে চীনা সাইবার হ্যাকার প্রবেশ করেছে বলে সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিক অথরিটির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। এর জেরে ৪০টি সাব-স্টেশনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হতে পারে। ওই আধিকারিক আরও জানান, ‘কেন্দ্রীয় সতর্কতা আসার পরে এসএলডিসির পক্ষ থেকে সব চীনা ম্যালওয়ার সরিয়ে ফেলা হয়।’
এদিন চীনা হ্যাকার বাহিনীর কর্মকাণ্ড এবং ভারত সরকারের অবস্থান নিয়ে মুখ খোলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, চীন এখন তাদের সাইবার বাহিনীকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এই অবস্থায় দেশকে ভবিষ্যতে কেন্দ্রের ‘কাপুরুষোচিত’ আচরণের মূল্য চোকাতে হবে। অন্যদিকে, ভারতে সাইবার হানা নিয়ে চীনের নাম জুড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বেজিং। চীনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘প্রমাণ ছাড়া কোনও একটি পক্ষকে দোষারোপ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এমনটা করা হচ্ছে।’