বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আগামীদিনে এই রূপরেখা প্রয়োজনে পরিবর্তন করা হতে পারে। অসমে প্রধানমন্ত্রী ৬টি সভা করবেন। এখনও পর্যন্ত কেরল, তামিলনাড়ু নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তামিলনাড়ুতে জোট নিয়ে চরম টানাপোড়েন অব্যাহত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকে কোণঠাসা করতে একা মোদি নয়, প্রায় গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলায় আসতে চলেছে প্রচারে। পাশাপাশি বিজেপি শাসিত প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও রাখা হচ্ছে স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকায়।
পাশাপাশি, জোর দেওয়া হচ্ছে রুপোলি পর্দার তারকাদের প্রচারে নামানোর উপরও। হেমা মালিনী থেকে সানি দেওল। বলিউডের নক্ষত্র তথা রাজনীতিকরাও আসবেন বলে স্থির হয়েছে। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে ভোট হলেও এবার বাংলাই নরেন্দ্র মোদির কাছে একমাত্র টার্গেট। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল, মোদি নিজে ২০২৪ সালে আদৌ আবার জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। তাই তিনি চাইছেন তাঁর নেতৃত্বে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মভূমি বাংলায় বিজেপিকে জেতাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মোদির নেতৃত্বে তা যদি সফল না হয়, তাহলে আগামীদিনে এই স্বপ্ন আর আদৌ সফল হবে কি না সংশয় রয়েছে বিজেপি তথা সংঘ পরিবারের শীর্ষস্তরে।
আবার হঠাৎ করেই অসমে বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থান টলোমলো। এনডিএ দুর্বল হয়ে গিয়েছে বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট চলে যাওয়ায়। পক্ষান্তরে বহু বছর পর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটকে অসমে অনেক বেশি সবল মনে হচ্ছে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান। সেই কারণেই দেখা যাচ্ছে কখনও রাহুল গান্ধী, কখনও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অসমে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন।
তবে এত কিছু করেও বাংলা নিয়ে বিজেপির উদ্বেগ দূর হচ্ছে না।. কারণ নতুন করে বিহারের তেজস্বী যাদব আর উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ যাদব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা করে দিয়ে বিজেপিকে টেনশনে ফেলেছেন। কারণ, হিন্দিভাষী ভোট। বিজেপি ধরেই নিয়েছিল এবার হিন্দিভাষী ভোটে একচ্ছত্র অধিকার থাকবে তাদের। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে হিন্দিভাষী নাগরিক ও ভোটারদের মধ্যে সিংহভাগই বিহার ও উত্তরপ্রদেশের। তাদের মধ্যে যে অংশটি এই দুই যাদব কুলপতির অনুগামী, তারা তেজস্বী ও অখিলেশের আহ্বানে যে সাড়া দেবেন সেটা স্পষ্ট। আর তাই হিন্দি ভোটের বড় অংশ হাতছাড়া হতে পারে বিজেপির। এই সব ফ্যাক্টর সামনে রেখেই বাংলায় প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি সভা সমাবেশ করা হবে বাংলায়। আনা হবে কয়েক হাজার জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো প্রচারের বাস। প্রিন্ট ও অডিও ভিস্যুয়াল বিজ্ঞাপনের জন্য মুম্বই ও দিল্লির খ্যাতনামা বিজ্ঞাপন সংস্থাকে স্লোগান, জিঙ্গল এবং শর্ট ফিল্মের বরাত দেওয়া হয়েছে।